মঈন উদ্দীন: রাজশাহী মহানগরীতে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে আনসার বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি আনসার বাহিনীর হ্যান্ডবল দলের খেলোয়াড় ছিলেন। এছাড়াও তিনি ভাল বাস্কেটবল খেলতেন। শনিবার রাত সাড়ে সাত টার দিকে মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকায় ওয়াসার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ভেতর আনসারদের একটি কোয়ার্টারের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মিজানুর রহমান মিজান (৩৬)। নগরীর হেতেমখাঁ সবজিপাড়া মহল্লায় তাঁর বাড়ি। বাবার নাম মো. মন্টু। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য মাধব নামে এক ব্যক্তিকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। মাধবের বাড়ি হেতেমখাঁ এলাকায়। তিনি মিজানেরই বন্ধু ছিলেন। এলাকায় সুদ আর মাদকের ব্যবসা করেন মাধব।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওয়াসার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাশে রেজা নামে এক ব্যক্তির একটা দোকান আছে। লকডাউন চলার কারণে মিজানুর ওই দোকানীকে লাইট বন্ধ করে ব্যবসা করতে বলেন। কিন্তু কেন লাইট বন্ধ করতে হবে এই প্রশ্ন তুলে মিজানুরের সঙ্গে তর্কে জড়ান মাধব।
এ সময় তাঁদের দুজনের হাতাহাতিও হয়। এরপর মিজানুর আনসারদের কোয়ার্টারের সামনে সেখানকার সদস্যদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর মাধব গিয়ে তাঁকে আচমকা ছুরিকাঘাত করেন। পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে মিজানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। তাঁরা মাধবকে আটকের দাবিতে নানা শ্লোগান দিতে থাকেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনায় চলছিল।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মিজানুর রহহমান খেলোয়াড় কৌটায় আনসার বাহিনীতে চাকরিতে ঢুকেছিলেন। তিনি ভাল হ্যান্ডবল ও বাস্কেটবল খেলতেন। বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসেও তিনি আনসার বাহিনীর দলে ছিলেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, মিজানুরের মরদেহের বুকের বাম পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলেই আছে। কেন হত্যাকাণ্ড, কে জড়িত- এসব পরে বলা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :