কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] দায়িত্ব গ্রহণের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মুজিব শতবর্ষে ও সুবর্ণজয়ন্তীতে এ প্রাপ্তি অত্যন্ত আনন্দের।
[৩] চলমান দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে সভাপতির পদ হস্তান্তার করেন তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলুত চাভুসৌলু।
[৪] সভায় ড. মোমেন বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রুপ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবে পূরণ করেছে।
[৫] চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুব সমাজকে সহায়তা করার জন্য ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডি-৮ দেশসমূহের মধ্যে সম্মিলিত জনসংখ্যার ১৯ শতাংশই তরুণ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে যুব সমাজের অফুরন্ত সম্ভাবনার গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশ।
[৬] যেহেতু ডিজিটাল যুগে টেকনোলোজি এবং উদ্ভাবনী দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী প্রয়োজন, সেহেতু, এ সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে খাপ খাইয়ে নেয়া এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে তাদেরকে সহায়তার লক্ষ্যে ডি-৮ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
[৭] পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে এবং এর অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহের কথা তুলে ধরেন।
[৮] তিনি ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য ‘ডি-৮ ডিজিটাল মার্কেট প্লেস’ এবং সবার জন্য প্রযোজ্য একটি সহনশীল মহামারি পরবর্তী সহযোগিতার মডেল প্রস্তুত করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন।
[৯] পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পণ্যের পাশাপাশি সেবা ক্ষেত্রেও মুক্ত এবং ন্যায়সঙ্গত প্রবেশের অধিকারে বিশ্বাস করে।
[১০] সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন এবং ডি-৮ ভূক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।