সুমাইয়া ঐশী: [২] টিকা সরবরাহে বিলম্ব হওয়ায় সেরামকে এই নোটিশ দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারতে চাহিদা মিটিয়ে এরপর বাইরের দেশে টিকা পাঠানোর নীতি অবলম্বন করছে দেশটির সরকার। এতেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সরকারের সহায়তায় দ্রুতই একটি সমাধানে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। আনন্দবাজার
[৩]টিকা সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে ভারত।
[৪] এই চিঠি নিয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা বলেন, চিঠিটা গোপনীয় হওয়ায় এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না। বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই অবগত আছে সরকার। আইনি জটিলতা কটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই। এনডিটিভি
[৫] আদর জানান, প্রতি মাসে ৬ কোটি থেকে ৬ কোটি ৫০ লাখ টিকা তৈরির সক্ষমতা আছে সেরামের। নিজ দেশকে প্রাধান্য দিয়ে এখন পর্যন্ত ভারতকে ১০ কোটি এবং বিদেশে ৬ কোটি টিকা পাঠানো হয়েছে। এতে বিদেশে সরবরাহ কমেছে। এই বিষয়টি বাইরের দেশগুলোকে বোঝানো মুশকিল। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৬] এদিকে, বর্তমানে ভারতের নিজেদেরই টিকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মজুদকৃত টিকাও শেষের পথে। এই সমস্যা সমাধানে এবং বিদেশে টিকার চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে জানান সেরাম প্রধান। দ্য ফেডারেল
[৭] উৎপাদন বাড়াতে হলে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ দরকার বলে জানান আদর। তবে টিকা প্রতি লাভ অত্যন্ত কম হওয়ায় এই বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ সম্ভব নয়। এ কারণে হয় বড় আকারে ঋণ নিতে হবে, নয়তো বড় কোনও বিনিয়োগকারী সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল