শিমুল মাহমুদ: [২] স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের সর্বনিন্ম শনাক্ত ছিলো ২.৩ শতাংশ। বাড়তে বাড়তে ২৪ শতাংশে ঠেকেছে। আগের তুলনায় ১০ থেকে ১১ গুণ রোগী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ১১ গুণ রোগীকে হাসপাতালে জায়গা দিতে হলে বেড বাড়াতে হবে। যা সম্ভব নয়।
[৩] তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ঢাকার সমস্ত হাসপাতালে বেড বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। ননকোভিড রোগীদের সরিয়ে কোভিড রোগীর জন্য ব্যবস্থা করছি। আড়াই হাজার শয্যাকে পাঁচ হাজার বেড করা হয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোকেও কোভিড হাসপাতাল করে দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকেও অনুরোধ করেছি হাজার মতো বেড বাড়ানোর জন্য। প্রতিদিন যদি ৪-৫ হাজার রোগী বাড়ে তাহলে সারা শহরকে হাসপাতাল বানালেও সামাল দেওয়া সম্ভব না।
[৪] মঙ্গলবার মহাখালীতে ডিএনসিসি আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই কথা জানান।
[৫] করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সঙ্কটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসায় রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটে ২০০ শয্যার একটি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) চালু হচ্ছে। আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যেই এখানে রোগী ভর্তি করা যাবে। পাশাপাশি এখানে এক হাজার শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
[৬] তিনি বলেন, আইসিইউর কাজ প্রায় সমাপ্ত। বেডগুলো বসানো হয়ে গেছে। সেখানে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখানে আমরা একটা বিরাট সাপোর্ট দিতে পারব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উনার নির্দেশনায় এগুলো হয়েছে।
[৭] জাহিদ মালেক জানান, টিকা কার্যক্রম চলমান আছে। সামনে সেকেন্ড ডোজ দেওয়া হবে। বেক্সিমকো আমাদের আশ্বস্ত করেছে এ মাসেই টিকা পাব। হয়ত দু-চার দিনের মধ্যেই। এজন্য আমরা তাদের প্রতিনিয়ত তাগাদা দিচ্ছি। আমরা দেশেও টিকা তৈরির চেষ্টা করছি। টিকা তৈরির যে প্রযুক্তি লাগে সেটা আনার চেষ্টা করছি। আলোচনা হচ্ছে অন্যান্য দেশ থেকেও আনার।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলমসহ অন্য কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।