মাসুদ আলম: [২] লকডাউনের প্রথম দিনে সোমবার সকাল থেকে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক পরিধান করে রাস্তায় বের হওয়া, চেকপোস্ট বসিয়ে ও টহল দিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে পুলিশ-র্যাব। পাশাপাশি মাঠে ছিলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
[৩] দুপুরে শাহবাগ মোড়ে একটি প্রাইভেটকার আটকে দেয় র্যাব। চালক অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ও তার পাশের সিটে বসা বাবা কারো মুখেই নেই মাস্ক। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জিজ্ঞেস করলেন, ‘মাস্ক নেই কেন ? কোথায় যাচ্ছেন ?’ জবাবে বাবা উত্তর দিলেন, আমাদের বাসা পরীবাগ। লকডাউনে একটু আশপাশে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গেই দুজনকে মাস্ক পরালো র্যাব। করা হলো জরিমানা। পরে র্যাব গাড়ি চালিয়ে তাদের বাসায় পৌঁছে দেন।
[৪] অভিযানে অকারণে ঘোরাঘুরি, মাস্ক না পরা, মোটরসাইকেলে যাত্রী বহনের অপরাধে ২৫ জনকে জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মোটরসাইকেল চালক। সিএনজি চালককেও জরিমানা করা হয়। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, জরিমানা করাই র্যাবের উদ্দেশ্য নয়। র্যাবের উদ্দেশ্য, করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।
[৫] এদিকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ১০টি মনিটরিং টিম রাজধানীজুড়ে অভিযান চালিয়েছে। মিরপুর-১ নম্বরে অভিযান চালান ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিষা রানী কর্মকারের নেতৃত্বাধীন একটি টিম। পরে মিরপুর-২ নম্বর, কল্যাণপুর, গাবতলী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দেখা যায় মাছের বাজার থেকে শুরু করে রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার নেই কোনও প্রবণতা। ম্যাজিস্ট্রেটের তৎপরতা টের পেয়ে মুখে মাস্ক পরেছেন অনেকে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতির আগে, কিংবা চলে যাবার পর কেউ কেউ আবার মাস্ক খুলে ফেলেন। খাবারের দোকানগুলোতে বসে খাবার না খাওয়ার নির্দেশনা থাকলেও প্রায় দোকানেই দেখা গেছে, সবাই বসে খাবার খাচ্ছেন।