মিনহাজুল আবেদীন: [২] রোববার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, এরা কী ধর্ম পালন করে আর মানুষকে কী ধর্ম শেখাবে। পুলিশ এগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য ধৈয্য দেখিয়েছেন। সংঘাত থেকে সংঘাত আমরা চাইনি, বিরত রাখার চেষ্টা করেছি। আমরা স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন করতে চেয়েছি। যারা এগুলো করছে দেশবাসী তাদের বিচার করবে।
[৩] প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদের চরিত্র কী তারা একদিকে ইসলাম, ধর্ম, পবিত্রতার নাম নিয়ে সব অপ্রবিত্র কাজ করে সোনারগাঁ রিসোর্টে ধরা পড়ছে।
[৪] হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ধরা পড়ে এখন সে তা ঢাকার জন্য চেষ্টা করছে। সে একদিকে বউ হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। আবার নিজের বউয়ের কাছে বলছে, অবস্থার পরিপেক্ষিতে এ কথা বলে ফেলেছি। যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে তারা এ ধরনের মিথ্যা কথা কীভাবে বলতে পারে?
[৫] একজন মুসলমান আর একজন মুসলমানের জান মালের হেফাজত ও রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। আর হেফাজতের নামে তারা জ্বালাও পোড়াও করে যাচ্ছে, আর বিএনপি- জামায়াত হচ্ছে তাদের মদদ দাতা।
[৬] ‘হেফাজতের প্রতি আমার অনুরোধ তাদের বোঝা উচিত কোন নেতৃত্ব তাদের। আগুন জ্বালাও পোড়াও করে তিনি বিনোদন করতে গেছেন একটি রির্সোটে একজন সুন্দরী মহিলা নিয়ে’।এটাই বাস্তবতা এরা ইসলাম ধর্মের নামে কলঙ্ক। ইসলাম ধর্মকে তারা ছোট করে দিচ্ছে। কিছু লোকের জন্য এই ধর্মটা জঙ্গির, সন্ত্রাসি ও দুশ্চরিত্রসহ সব নাম জুড়ে দিচ্ছে।
[৭] পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। যা শান্তি এবং সাধারণ মানুষের কথা বলেছে। উন্নয়নের কথা বলেছে। সেই পবিত্র ধর্মকে তারা কুলষিত করছে। এ বিনোদনের অর্থ কোথার থেকে আসছে।
[৮] আগুন নিয়ে খেলছে তারা। এক ঘরে আগুন লাগলে সেই আগুন অন্য ঘরে চলে যেতে পারে। সেটা তাদের হিসেবে নেই। রেল স্টেশন থেকে শুরু করে ভূমি, ডিসি অফিস সব জায়গা হেফাজত আগুন দিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের মাদ্রাসা বা বাড়ি ঘরে আগুন লাগলে তারা কী করবে। জনগণ বসে বসে এগুলো সহ্য করবে না। সম্পাদনা: রাশিদ