সুজিৎ নন্দী: [২] পাইকারি মার্কেটে প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা দোকান খোলা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মার্কেটের ভেতরে ১০ জন করে ঢুকতে পারবে। এ ১০জন বের হবার পরে আবার ১০জন ঢুকতে পারবে। মালামাল কিনে চলে যাবে। এ সুযোগ টুকু না দিলে ব্যবসায়িদের মারাত্মক ক্ষতি হবে। কথাগুলো বলেন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
[৩] তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সচিবের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা আমাদের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন। একই সঙ্গে গত বছর ঈদের মতো স্বাস্থ্য বিধি মেনে দোকান খোলার অনুমতি দিলে ব্যবসায়িরা কিছুটা হলেও বাঁচতে পারবে।
[৪] এদিকে করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। এ সময় দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে।
[৫] দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাঈদ সুফি বলেন, লকডাউনের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের মানতেই হবে। কারণ দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন ভালো না। তাই আগামী ৫ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। তবে আমাদের দাবি এই লকডাউন এক সপ্তাহের বেশি যেন না বাড়ে।
[৬] ব্যবসায়িক একাধিক নেতা বলেন, এর আগে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা শপিংমল ও দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করেছি। নতুন করে যদি এর সঙ্গে কিছু যোগ করে তাও আমরা মানতে রাজি। তবে ঘোষিত লকডাউনের সময় যেন আর না বাড়ে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্টদের জানাচ্ছি। কারণ এক সপ্তাহ পর সময় বাড়ালে অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
[৭] একাধিক বড় শপিংমল কর্তৃপক্ষ জানান, লকডাউনের ঘোষণা এসেছে, তবে এখন পর্যন্ত পুরো নির্দেশনা পাইনি। সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবেই আমরা চলব। শপিংমল এক সপ্তাহ বন্ধ রাখতে বললে আমরা বন্ধ রাখব।
[৮] ব্যবসায়িরা জানান, জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান, কাঁচাবাজার, খাবার ও ওষুধের দোকান লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।