আবুল কাশেম : [২] উদ্যোগটি নিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন তবে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে।
[৩] সিলেটের নগরবাসীর আর বেওয়ারীশ লাশ দাফনের জায়গা হচ্ছে হয়রত শাহ্ জালাল (রহ.) সফরসঙ্গী হিসেবে আরো ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সফর সঙ্গী হয়রত মানিকপীর (রহ.) মাজার টিলা কবরস্থানে। প্রতিদিন ওই টিলায় দাফন করা হয় লাশ ।
[৪] দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পুরো টিলায় লাশ দাফন করে আসছেন সিলেটের মানুষ, তাছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনেক সময় বেওয়ারীশ লাশ দাফন কার হয়। শৃঙ্খলাবৃদ্ধিতে লাশ দাফন না করায় কার লাশ কোথায় দাফন করা হয় ১৫ দিন পর চিনা মুশকিল হয়ে পড়ে। একটি কবরের উপর আরটি মাটি চাপা দেওয়া হতে দেখা যায়। ২০২০ সাল থেকে সিলেট সিটি কর্পোরেশন পাহাড় সমতলের কাজ হাতে নেয়।
[৫] সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়- এ.বি.সি.ডি.ই.এইচ ব্লাক তৈরি করে মোট ৮ টি ব্লক অথবা জোনে পুরো কবরস্থান ভাগ করা হবে। এই ৮টি ব্লকে থাকবে ৩২শ করব। তার মধ্যে (এ) ব্লকে থাকবে ৫৯০,(বি) ব্লকে ৩৭৯, (সি) ব্লকে ৫৯১, (ডি) ব্লকে ৫০১ (ই) ব্লকে ২৮৬, (এফ) ব্লকে ২০৭ টি, (জি)ব্লকে ৫৬৫ ও (এইচ) ব্লকে থাকবে ১০০ টি কবর। তাছাড়া সেই কবরগুলোতে বসানো হবে নাম্বার,আর এ নাম্বার দিয়ে খুব সহজে খুজে পাবে মৃত ব্যক্তির স্বজনরা তাদের আপন জনের কবর। পুরো টিলা সাজানো হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন কাড়ার মতো। পাশাপাশি উন্নয়ন করা হচ্ছে মানিক পীর (রহ.) মাজার ও পুরো টিলার দেয়াল, লাইটি করা হচ্ছে ব্লক করা করবগুলো । এছাড়া মৃত ব্যক্তির গোছলের জায়গা করা হচ্ছে অত্যাধুনিক।
[৬] সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নূর আজিজু রহমান জানান, ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন হাতে নিয়ে সিটি কর্পোরেশন পুরো কাজ সম্পন্ন হলে একটি আধুনিক কবরস্থানে পরিণত হবে।
[৭] সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, মানিকপীর (রহ.) মাজার টিলায় কবরস্থান হবে বিজ্ঞান সম্মত এবং পরিকল্পিত। দেশের মধ্যে একটি দৃষ্টিনন্দন কবরস্থান হিসেবে নজর কাড়বে। ব্লক পদ্ধতিতে করব হলে নিজের আত্মীয় স্বজন ও আগামী প্রজন্ম জানতে কোথায় তাদের আপনজনের কবর হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :