ফিরোজ আহমেদ: ঢাকার পরিবহন সংকট নিয়ে ভয়ঙ্কর সব চিত্র সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। মহামারীও কতো বড় বাণিজ্যের উৎস হতে পারে, জনগণের দায়দায়িত্ব কতোটা নির্বিকারভাবে উপেক্ষা করা যায়, পরিবহন তার একটা দৃষ্টান্তমাত্র। মানুষকে ঠাসাঠাসি বাসে চড়তে বাধ্য করা হবে, ভাড়াও নেওয়া হবে দ্বিগুন এবং করোনা ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হবে কেবল মানুষকেই। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা কতোটুকু এগিয়েছি,তার একটা গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড তো এটাও যে, মহামারীর মতো চলাচল সীমিত রাখা সমেয়ে মানুষের জন্য পরিবহন নিশ্চিত করার কোনো ব্যবস্থা সরকার করতে পারেনি। খুব কি অসম্ভব ছিলো?
জরুরিভিত্তিতে শহরের সবগুলো বাস সাময়িক সময়ের জন্য রিকুইজিশন করে অল্প ভাড়ায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হওয়া মানুষগুলোর পরিবহনের জন্য বরাদ্দ করা। এবং এ কয়দিনের চালক এবং সহকারীর বেতন সরকারি তহবিল থেকেই দেওয়া? এটা করতে হলে অবশ্য একটা নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বশীল সরকারই লাগে, যার চিন্তায় থাকে ভালো কাজ করে পরেরবার মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করা, সমালোচনা এড়ানো কিংবা মানুষের সঙ্গে যুক্ত থাকার ন্যূনতম চেষ্টা। একটা গুণ্ডাতান্ত্রিক সরকার মানুষের ওপর নিপীড়ন, গুলি, গুম, খুনের ওপরই ভর করে টিকে থাকলে কোনো সন্দেহ নেই। পরিবহন মালিকদের গুন্ডাগিরি করতে দেওয়ার বিনিময়ে মহামারীর কালেও তাদের লাভের বরাদ্দটা যেন ঠিক থাকে, সে কাজটাই সরকার করবে। ফেসবুক থেকে