রাশিদুল ইসলাম : [২] সৌরজগতের সপ্তম এ গ্রহটির আকার আয়তনেও বেশ বড়। ইউরেনাসের শনি গ্রহের মতো অক্ষের চারপাশে বলয় আছে। সেখান থেকেই ঠিকরে বেরিয়ে আসছে আলোক তরঙ্গ। মিশে যাচ্ছে মহাকাশে। ছিটকে আসা এক্স-রে’র খোঁজ পেল নাসা। ন্যাচার
[৩] চন্দ্রা অবজারভেটরি জানাচ্ছে, ইউরেনাসের চারপাশে ঘুরছে তড়িৎ ধনাত্মক ও তড়িৎ ঋণাত্মক কণার স্রোত। মানে প্রোটন ও ইলেকট্রন কণার স্রোত ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই চার্জড পার্টিকলগুলো একে অপরকে ধাক্কা দিচ্ছে সব সময়। এদের সংঘর্ষেই এক্স-রে রশ্মির সৃষ্টি হচ্ছে যা গ্রহের বলয়ে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে বেরিয়ে আসছে।
[৪] এর আগে জ্যোতির্বিজ্ঞানী জন ফ্লামস্টিড ইউরেনাসকে ছয় বার দেখেছিলেন সৌরমণ্ডলে। ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী পিয়েরে লেমোনিয়ার ১৭৫০ থেকে ১৭৬৯ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ১২ বার ইউরেনাসকে সৌরমণ্ডলে ঘুরপাক খেতে দেখেছিলেন।
[৫] প্রথমে মনে করা হত ইউরেনাস বুঝি পথ হারানো কোনও ধূমকেতু। পরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ঠাওর করে দেখেন, ধূমকেতু নয়, আসলে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণরত একটি গ্রহ। মানে আমাদের সৌরমণ্ডলেরই সদস্য।
[৬] মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলেন, সূর্য থেকে অনেক দূরে থাকায় এই গ্রহের তাপমাত্রা খুবই কম। ভেতরটা জমাট বরফে ঢাকা। হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসে তৈরি এই গ্রহ।