রাজেকুল ইসলাম: প্রকৃতির নিয়মানুযায়ী আবহাওয়ার পরির্বতনের সাথে সাথে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় ব্যাপক ভাবে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মাঝেও দেখা দিয়েছে। গত এক মাসে প্রায় ৩ শতাধিক আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ২ শতাধিক ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হলেও শয্যা সংখ্যার অভাবে বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ী পাঠানো হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় হঠাৎ করেই ডায়রিয়া ও পেটে ব্যাথা রোগের প্রাদুর্ভাব চরম আকারে দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ৮টি ইউনিয়নে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হলেও মেকাবেলা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ৫০শয্যার হাসপাতালে উন্নিত করা হলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ শয্যা না থাকায় বাধ্য হয়েই মেঝেতে শয্যা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আতাইকুলা গ্রামের রহিমা বিবি (৭০), বিলকৃষ্ণপুর গ্রামের জব্বার আলী (৬৬) সহ অনেকেই বলছেন তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে , শয্যা না পাওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কেএইচএম ইফতেখারুল আলম খাঁন শয্যা সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে এই সময়ে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, পঁচা-বাসি ও নষ্ট হওয়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত তাকা ও শিশুদের ঠান্ডা না লাগানোর পরামর্শ দেন। বেশি বেশি করে বিশুদ্ধ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। কেউ আক্রান্ত হলে অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে বলেন। প্রত্যেক ডায়রিয়া রোগীরকে ১৮-২০হাজার এমএল স্যালাইন দেওয়া লাগছে। ৫০শয্যার হাসপাতালে ভর্তিকৃত অন্য রোগীর পাশাপাশি ডায়রিয়া ও পেটে ব্যাথা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়ার রোগীরা ভর্তি হলে সুস্থ হতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাত দিন। স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ সংকটের বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :