এএইচ রাফি: [২] সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ বলেছেন, প্রতিবারই কিছু হলে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হামলা করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসের পরিমাণ এত বেশি তা কল্পনা করা যাচ্ছে না। এই ঘটনায় সরকার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে৷
[৩] বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় হেফাজতকর্মীদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শন শেষে প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
[৪] এর আগে প্রতিমন্ত্রী হেফাজতের হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় সুর সম্রাট উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেভাবেই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশের বড় শক্তি। সেজন্য তারা বারবার সংস্কৃতির ওপর হামলা চালায়। শিল্প-সংস্কৃতির ওপর যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান অবদান রাখতে পারে, সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ওপর বারবার হামলা চালায় তারা। শুধু হামলা চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে।
[৫] প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, বিশ্বাস করা যায়না এমন ধ্বংসযজ্ঞ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তারা চালিয়েছে। যেগুলো ক্ষতি হয়েছে, আমরা সেগুলো পুণ:নির্মাণ করব। যারা এ ধ্বংসের সাথে জড়িত, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।
[৬] উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদরাসাছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।
[৭] এসময় পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌরমিলনায়তন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনায় নিহত হয় ৯ জন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ