গোলাম সারোয়ার:[২] বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশে হেফাজত, জামায়াত ও বিএনপি‘র তান্ডব ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
[৩] ৩০ মার্চ মঙ্গলবার আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদে সম্মেলনে এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু নাছের আহমেদ।
[৪] সংবাদে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত রোববার হেফাজতের হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, জেলা পরিষদ, সুর সম্রাট উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীত একাডেমী, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্তর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়, শিল্পকলা একাডেমি, সদর ভুমি অফিস, জেলা পুলিশ লাইন, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা, জেলা আওয়ামী লাগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন ও তার শ্বশুরবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি, আশুগঞ্জে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজা, পুলিশ বক্স ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু নাছেরের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে।
[৫] তাছাড়া মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনার পোষ্টার সংবলিত কয়েকটি গেইট ও কাচারী পুকুরের পাড়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর করে হেফাজত, জামাত, বিএনপি ও দলে অনুপ্রবেশকারি কিছু সুবিধাবাদীরা।
[৬] সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয় স্বাধীনতার ৫০ বছরেও পরাজিত শক্তি এদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি । সাধারণ জনগণকে স্বাধীনতা বিরোধী ও উগ্রমৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানানো হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের প্রতি ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়।
[৭] এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সালাহ উদ্দিন, তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সামা, দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু, শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফউদ্দিন চৌধুরিসহ উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রিফাত সিকদারসহ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন