শিপা সুলতান: আফগানিস্তানে যখন মোল্লারা ক্ষমতা দখল করলো, প্রথমেই আক্রমন করলো নারীদের উপর। অফিস থেকে, স্কুল, কলেজ থেকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, বেত্রাঘাত করতে করতে ঘরে নিয়ে ঢুকালো নারীদের। যে নারী হাইকোর্টের জাজ ছিলো, এক নিমেষে সে তখন দুনিয়ার আলো থেকে অন্ধকার গৃহে প্রবেশ করলো, দশ/বারটি সন্তানের জন্ম দিলো, বাড়ির কাজের পুরুষলোকটিকে দেখলেও মাথায় ওড়না তুলে দ্রুত দরজার আড়ালে গেলো। যে নারীটি কলেজের অধ্যাপিকা, তার চুল কেটে ন্যাড়া করে চাবুক মারতে মারতে নিক্ষেপ করা হলো ঘরের ভেতর, যে মেয়েটি ইউনিভার্সিটির উজ্জ্বল আলো, তাকে কাবু করতে না পেরে গণধর্ষণের পর হত্যা করে নাম দিলো ‘অনার কিলিং’। অফিসের বস নারী, কর্পোরেট নারী, শিক্ষক নারী, লেখক নারী, নৃত্য শিল্পি নারী, বুদ্ধিজীবী নারী, আইনজ্ঞ নারী, শপ কিপার নারী, অভিযাত্রী নারী, বিমানবালা নারী সবার স্থান হলো বাড়ির ভেতরে, দেয়ালের ভেতরে।
কবিতা লেখার অপরাধে হত্যা করা হলো নারী, প্রেম করার অপরাধে, একা বাজারে যাবার অপরাধে, স্কুলে যাবার অপরাধে, গান গাওয়ার অপরাধে হত্যা করা হলো নারী। আরো আরো শত শত অপরাধ নারীদের, সীমাহীন অপরাধ নারীদের, পাঁচ/সাত সতীনের সংসার নারীদের, দিনরাত গম পিষে পাউডার করার কাজ নারীদের। কোনো অপরাধে মারা যাচ্ছে না জেনে খুন হওয়ার নিয়তি আফগানিস্তানের নারীদের, পাকিস্তানের নারীদের, ইরানের নারীদের...। যে সমস্ত কর্পোরেট আপ্পিরা, লেখক আপ্পিরা, ফেসবুক ফাইটার আপ্পিরা আজ ঘোষণা দিয়ে দিয়ে একটি গোষ্টিকে সমর্থন করছেন, এমন দিন না আসুক যে সবার আগে চাবুকের বাড়িটি আপনাদের পিঠেই পড়ে...। ফেসবুক থেকে, মামুন