শিরোনাম
◈ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ফেসবুক আইডি হ্যাকড ◈ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১০৬ মামলায় চার্জশিট দিল পুলিশ ◈ ফিফা আরব কাপ, স্বাগ‌তিক কাতারকে একমাত্র গোলে হারালো ফিলিস্তিন ◈ দেশে ফিরলে তারেক রহমানও কী এসএসএফ নিরাপত্তা পাবেন? ◈ সাকিব ও মোস্তাফিজ আইপিএলের নিলামের তালিকায় ◈ বেগম জিয়ার অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল ◈ গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ জারি ◈ নতুন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি চালু: গ্রাহকদের টাকা উত্তোলনের বিষয়ে যা জানা গেল ◈ জানা গেল জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের সম্ভাব্য তারিখ, চূড়ান্ত হবে রোববার ◈ বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২১, ০৩:৩৩ রাত
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২১, ০৩:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাত প্রতিষ্ঠানকে ৫১ লাখ টাকা জরিমানা

ডেস্ক রিপোর্ট: বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করায় সাত প্রতিষ্ঠানকে প্রায় সাড়ে ৫১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। এসব প্রতিষ্ঠান জাল মূসক চালান ইস্যু, মূসক চালান ছাড়া পণ্য পরিবহন, বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাপড় পাচার, অবৈধভাবে গুদামজাত করা ও ইউডি ছাড়া পণ্য স্থানান্তর করায় এসব মামলা করা হয়েছে বলে জানায় চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত এসব মামলা করা হয়। জাল মূসকের মাধ্যমে চালান ইস্যু করায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রামের বেঙ্গল সিনথেটিক ফাইবার লিমিটেডের একটি চালান আটক করে চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেট। তারপর ওই মাসের ৮ তারিখে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে ৪৬ হাজার ৮০০ টাকা রাজস্ব ও ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করে পণ্য ও গাড়ি ছাড় দেয়া হয়।

একই মাসের ৯ তারিখে মূসক চালান ছাড়া পণ্য পরিবহন করায় মেসার্স ইসলাম এন্টারপ্রাইজ নামের অপর এক প্রতিষ্ঠানের গাড়িসহ পণ্য আটক করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানটিকে পরে এক লাখ ৩৪ হাজার ৫২৬ টাকা রাজস্ব ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করে পণ্য ছাড় দেয়া হয়। তার দুদিন পর মেসার্স ফ্রাঙ্ক অ্যাপারেলস লিমিটেড ইউডি ছাড়া পণ্য স্থানান্তর করায় তাদের একটি চালান আটক করে চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেট। ওই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাপড় পাচার করার সময় হাতেনাতে আটক করা হয় মেসার্স কেজিএন এন্টারপ্রাইজের একটি চালান। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ২ ফেব্রুয়ারি মামলা করে চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেট। একই সঙ্গে ওই চালানের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি থেকে তিন লাখ ৭৬ হাজার টাকা রাজস্ব ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করে পণ্য ও গাড়ি ছাড় দেয়া হয়। একই দিন মেসার্স শাহজি ডায়িং অ্যান্ড এক্সেসরিজ নামে অন্য একটি প্রতিষ্ঠান বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্য অবৈধভাবে গুদামজাত করায় প্রতিষ্ঠানটির গুদাম সিলগালা করা হয়। পরে আট লাখ ৪৪ হাজার ৬৯০ টাকা রাজস্ব ও চার লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।

এর বাইরে ৮ মার্চ বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাঁচামাল অবৈধভাবে অপসারণের অভিযোগে মেসার্স এইচটি আমিন এক্সেসরিজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তারপর ওই মামলার বিপরীতে ছয় লাখ টাকা অর্থদণ্ডসহ রাজস্ব আদায় করা হয়। তবে এসব মামলা থেকে একটু আলাদা ছিল মেসার্স সুপার নিটিং অ্যান্ড ডায়িং মিলস লিমিটেডের মামলাটি। প্রতিষ্ঠানটি বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাঁচামাল দিয়ে পণ্য তৈরি করলেও ওই পণ্য বিদেশে রপ্তানি না করে খোলা বাজারে পাচারের অপচেষ্টা করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি প্রতিষ্ঠানটির, পাচারের সময় আটক হয় পণ্য চালান। পরে ওই চালানের বিপরীতে ১৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা রাজস্ব ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করে চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেট।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনার একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, সাতটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অপরাধ করায় তাদের পণ্যসহ গাড়ি আটক করা হয়। পরে ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থদণ্ডসহ রাজস্ব আদায় করা হয়। সূত্র:শেয়ার বিজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়