শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২১, ১২:২৫ রাত
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২১, ১২:২৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারি জমি আত্মসাতের দায়ে শৈলকুপার সাবেক পৌর মেয়র ও বিএনপি নেতা খলিলুরের সাত বছরের জেল

জাহিদুল কবির: সরকারের খাশ জমির জাল দলিল তৈরী করে আত্মসাতের দায়ে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা পৌরসভার সাবেক মেয়র খলিলুর রহমান মন্ডলের সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার স্পেশাল জজ সামছুল হক আসামিকে এ সাজা প্রদান করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা পৌর এলাকার কেদার মন্ডলের ছেলে। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম।

মামলা সূত্রে জানাযায়, ঝিনাইদহ জেলার ৫১ নং শৈলকুপা মৌজার ৫৫৪৫ দাগে ৫ শতক ও ৫৫৪৬ দাগে আরো তিন শতক জমি মোট আট শতক জমি এস এ রেকর্ড অনুযায়ী সরকারের খাশ জমি। কিন্তু খলিলুর ওই জমি সুষমা বালা নামের এক মহিলাকে দাতা ও নিজেকে গ্রহিতা সাজিয়ে জাল দলিল বানিয়ে নিয়ে ১৯৭৩ সাল থেকে দখলে রাখেন। পরে মেয়র থাকা অবস্থায় ওই জমিতে তিনি রাহুল মার্কেট তৈরী করে ব্যবসা শুরু করেন। তাছাড়াও ওই জমিতে পুরাতন দালান ছিলো যার মুল্য ২০ লাখ টাকা। খলিল ওই দালান ভেঙ্গে টাকা আত্মসাত করেন। ২০০৫ সালে বিষয়টি সরকারের  নজরে আসে। এরপর জেলা রেজিস্ট্রারের প্রতিবেদন পাবার পর সরকার নিশ্চিত হয় দলিলটি জাল।

এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ১৫ আগষ্ট শৈলকুপা পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম  বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় ৪০৯/৪২০/৪২৭/৪৬৮/ ও ৪৭১ ধারায় মামলা করেন। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী মামলাটি তদন্ত করে ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে খলিলুরকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমাদেন। এরপর ২০১৮ সালে মামলাটি সিনিয়র স্পেশাল আদালত ঝিনাইদহ থেকে যশোর স্পেশাল জজ আদালতে বদলি করা হয়। যশোরে তৎকালীন বিচারক ফারুক হোসেন মামলার বিচার কার্য শুরু করেন। মামলায় ১৭ জন সাক্ষির মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করে আদালত। সোমবার মামলার রায় ঘোষণার দিনে আদালতে ৪৬৮ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়ে খলিলুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়