আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] স্বৈরশাসন অবসানের আগে দেশটির সঙ্গে কোনও ব্যবসা করবে না যুক্তরাষ্ট্র। অভ্যুত্থানের আগে জেনারেলদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলো ভারতের আদানি গ্রুপ।
[৩]মঙ্গলবার এক স্থানীয় মনিটরিং গ্রুপ জানায়, অনেক মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করার চেষ্টা করছে জান্তা সরকার। তবে সংস্থাটি মনে করে, বিক্ষোভকারীদের উপর আরও শক্তি প্রয়োগের পরিকল্পনা আছে সরকারের। চ্যানেল নিউজ এশিয়া
[৪] যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা মিয়ানমারের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করেছে। তাদের দাবি মতে, যতোদিন জান্তা সরকার দেশটির ক্ষমতায় থাকবে ততোদিন কোনও ধরণের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নয়। দ্য গার্ডিয়ান
[৫] এদিকে, একটি প্রতিবেদন বলছে, ভারতের আদানি গ্রুপ এই অভ্যুত্থানে প্রকাশ্য সহায়তা করেছে। ২০১৯ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইং এর উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এবিসি নিউজের ফাঁস করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, আদানি পোর্টের সিইও কারান আদানি এর কিছুদিন পরেই হ্লাইং এর সঙ্গে দেখা করেন।
[৬] অবশ্য আদানি গ্রুপ বলছে, মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের সঙ্গে তাদের তখনই কোনও ধরনের সম্পর্ক ছিলো না। আদানির একটি সাবসিডিয়ারি মিয়ানমার ইকোনমিক কর্পোরেশনকে জমির লিজবাবদ ৩ কোটি ডলার দিচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে।
[৭] অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, আদানি গ্রুপ নিজ ব্যবসায়িক স্বার্থে মিয়ানমারের জেনারেলদের সঙ্গে সবসময়েই যোগাযোগ রক্ষা করে গেছে।