ইসমাঈল ইমু: [২] স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী গ্রামের খাটাল থেকে এক সময় প্রতিদিন হাজার হাজার গরু দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হতো। এসব গরু আসতো ভারত সীমান্তের ইছামতি নদী পার হয়ে চোরাইভাবে। তবে ওই ব্যবসা এখন নেই। ভারত আর গরু দিচ্ছে না, দিচ্ছে ইয়াবা ও ফেনসিডিল।
[৩] সীমান্ত ঘেষা ইছামতি নদীর প্রায় পুরোটাই ভারতের অভ্যন্তরে। নদীর তীর ঘেষে গড়ে ওঠা ১৩ টি পরিবারের সমন্বয়ে তৈরি গ্রামের নাম তেরঘর। বংশ পরম্পরায় তারা সীমান্তের শূন্য রেখায় বসবাস করলেও ভারত সরকার তাদের তুলে দেয়নি। এ কারনে মাদক চোরাচালানে এ গ্রামের বাসিন্দারা সক্রিয় থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না বিজিবি। তাছাড়া ওই গ্রামের লোকজন পুটখালী গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
[৪] সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পুটখালী গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরেই মাদক কেনাবেচা হয়। বিশেষ করে বিকেল ৩টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ব্যবসা। পাশেই বিজিবি ক্যাম্প থাকলেও অনেকটা প্রকাশ্যেই ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিক্রি চলে। তেরঘরের পাশের গ্রামের একটি বাড়ির এক যুবকের কাছে ফেনসিডিল চাইলে তিনি জানান, সকালে সাধারনত বিজিবি টহল জোরদার থাকে। তবে বিকেল একটু সিথিল হওয়ায় বেচাকেনা বাড়ে। একটি ফেনসিডিল পাইকারি বিক্রি হয় ৫শ’ টাকা ও খুচরা বিক্রি হয় ১হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়। আর ইয়াবা পাইকারি বিক্রি হয় দেড়শ’ থেকে ২শ’ টাকা, খুচরা বিক্রি হয় ৩শ’ টাকা করে। এছাড়াও ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ বিক্রিও চলে।
[৫] বিজিবির কর্মকর্তারা বলছেন, সার্বক্ষণিক বিজিবির টহল অব্যাহত থাকলেও টহল ফলো করে চোরাকারবারিরা মাদক সরবরাহ করছে। মাঝেমধ্যে ধরাও পড়ছে মাদকের চালান। তবে বেশিরভাগ সময় চোরাকরবারিদের লক্ষ্য করলে তারা মালামাল রেখে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। এক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায় না। তবে সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করার ফলে মাদক চোরাচালান কমে এসেছে এই সীমান্তে।