শিরোনাম
◈ ভুয়া জুলাই শহীদ-যোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ◈ কুয়াকাটা সৈকত থেকে আবারও অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার ◈ আদমদীঘিতে ভাঙা রেললাইনে কম্বল গুঁজে ১৮ ঘন্টা ট্রেন চলাচল ◈ জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ব্যক্তি বিবেচনায় এলএনজি কেনা হচ্ছে না, পিটার হাসের কোম্পানি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ◈ বিসিএস পরীক্ষা: কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত ◈ চশমা ছাড়াই স্পষ্ট দেখা সম্ভব, কার্যকর আই ড্রপ উদ্ভাবন ◈ যেসব বিষয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন বেতন কাঠামোতে  ◈ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ইসরা‌য়েল‌কে বহিষ্কারের দাবি জানা‌লেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ◈ কূটনৈতিক সংকট ছাপিয়ে বাণিজ্যে ভারত–বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২১, ০৪:২৫ দুপুর
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২১, ০৪:২৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] টানা খরায় ঝরে পড়ছে আমের গুটি, দিশেহারা চাষীরা

আতাহার আলী: [২] টানা খরা ও দির্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় আম প্রধান অঞ্চল নামে খ্যাত রাজশাহীর বাঘার প্রধান অর্থকারী ফসল আমের গুটি ঝরে পরছে। অনেক স্থানে একই কারনে লিচু ও কাঁঠালের মুচিও ঝরে যাচ্ছে। এতে উপজেলার আমচাষী ও ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।

[৩] উপজেলার বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা যায়, এবার অধিকাংশ গাছে আম ও লিচুর পর্যাপ্ত মুকুল আসে এবং গাছে প্রচুর গুটি আটকাচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের আম চাষী ও বাগান মালিকরা বাগানের পরিচর্যা করে যাচ্ছে। কিন্ত দীর্ঘ কয়েক মাস বৃষ্টি না হওয়ায় গ্রীষ্মের খরতাপে আম ও লিচুর বোটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। একই কারণে ঝরে পড়ছে কাঁঠালের মুচিও। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এ অঞ্চরের বাগান মালিক ও ব্যাবসায়ীরা। এ ছাড়া বেশীরভাগ এলাকায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পর্যাপ্ত সেচ দিতে পারছেন না বাগানগুলোতে। ফলে বিপাকে পড়েছে চাষীরা।

[৪] উপজেলার বানিয়া পাড়া গ্রমের আম চাষী শহীদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ কয়েক মাস বৃষ্টি না হওয়ায় আম ও লিচুর বোটা শুকিয়ে গুটি ঝরে পড়ছে। বাগানগুলোতে প্রচুর মুকুল এসেছিল এবং গুটিও ভালোই আটকাচ্ছিল কিন্তু খরার কারনে আম-লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে। এতে ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।

নিচিন্ত পুর গ্রমের বাগান মালিক সিদ্দকিুর রহমান বলেন, খরায় আমের বোটা মুকিয়ে যাওয়ায় পুষ্টির অভাবে অম বড় হতে পারছেনা দামী দামী ওষুধ স্প্রে করেও তেমন ফল পাচ্ছি না।

[৫] বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর বাঘা উপজেলায় -৮ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে আমের গাছ ছিল। ওই পরিমাণ জমিতে ফলন্ত আমের গাছ ছিল ৫ লাখ ৫০ হাজার ৩০০টি এবং অফলন্ত গাছ ছিল ৮০ হাজার ৪০টি। তবে এবছর ফলন্ত গাছের সংখ্যা আরো বেড়েছে। ওই সব গাছ থেকে গত বছর আম উৎপাদন হয়ছেলি ৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এ বছর মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ফলন্ত গাছেরে সংখ্যা বৃদ্ধি পওয়ায় আমের ফলন গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছিল।

[৬] এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসা কামরুল ইসলাম বলেন, আম ও লিচুর ফলন ধরে রাখতে গাছের গোড়ায় রিঙ করে বেশি বেশি পানি দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে চাষিদের। এছাড়া প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইউরিয়া সার অথবা ৩ গ্রাম বরিক এসিড মিশ্রণ করে স্প্রে করার পরামর্শ দেন তিনি। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়