কাজী আহমদ পারভেজ: [১] বঙ্গবন্ধুর আদর্শগুলো এখনো কতোটা প্রাসঙ্গিক আছে, সেটা বুঝতে পারবেন।
[২] পরিচিত অপরিচিত যতোগুলা গান আছে ছবিটাতে, সবগুলাই খুব ওয়েল পারফর্মড, দৃষ্টিনন্দন ও গ্রেট টাইমিং সহকারে উপস্থাপিত হয়েছে। দেখতে বসে একবারের জন্যও আরোপিত মনে হবে না। মনে হবে হ্যাঁ, এখানে তো এই গানটাই যাওয়ার কথা ছিলো।
[৩] স্টোরি টেলিংটা খুবই প্রাঞ্জল, গতিময়, ইভেন্টফুল। কিছুটা ব্যতিক্রমীও। কাহিনি একবারের জন্যও ঝুলে যায়নি। দুই-তিনবার ঘটনাগুলা শুরুতে লিটল কনফিউজিং ছিলো, কিন্তু প্রত্যেকবারই ইট কেইম ব্যাক উইথ এ টুইস্ট, এন্ড ব্যাং। পাঞ্চ লাইনের টাইমিংগুলা ছিলো প্রশংসনীয়।
[৪] মম-র অসাধারণ অভিনয়। তিনি এমনিতেও খুবই গুণী একজন অভিনেত্রী। তবে এটা আমার দেখা, ওনার শ্রেষ্ঠ পারফর্মেন্স। এই ছবির জন্য তিনি দুই-চারটা পুরস্কার যদি না পান, আমি খুবই অবাক হবো। শ্যামল মাওলা, পরীমনি, আবুল হায়াৎ, মামুনুর রশিদ, করভী মিজানরাও চমৎকার, তবে তাদের তো এরকম করতেই দেখি। আমার বিচারে মম সবাইকে তো বটেই, নিজেকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন।
[৫] ছবি দেখে বেরুনোর সময় মনে হবে, পয়সা, সময় ও শ্রম যা খরচ হয়েছে, পুরটাই উসুল করতে পেরেছেন। অনেকদিন পরে হলে গিয়ে এমন একটা দেশি ছবি দেখলাম, যা নিয়ে অভিযোগ করার কোনো জায়গা খুঁজে পেলাম না। একটা ছবির সব ভালো হয় কীভাবে? দোষের কি কিছুই নেই। কিছু তো থাকবেই। মিউজিক ব্যান্ডটা ছিলো আর দশটা প্রচলিত ব্যান্ডের মতোই শ্রোতার চাহিদা ফোকাসড একটা দল। সেখান থেকে তারা একটা ট্রানজিশনের মধ্য দিয়ে গিয়ে প্রো-মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের গানকে ধারণ করে। কিন্তু কীভাবে সেটা ঘটে, সেটা খুব একটা পরিষ্কার না। অনুমান করে নিতে হয়েছে। তবে এদিকে ফোকাস দিতে অন্য সমস্যা হয়তো হতো।
ছবির দৈর্ঘ্য বেড়ে যেতো। অথবা টুইস্ট গুলা বাদ পড়ে, এটা একটা গল্পের চেয়ে বেশি ডকুমেন্টারি হয়ে যেতে পারতো। সেদিক দিয়ে ভাবলে, যা হয়েছে, মন্দ না এটা বলাই যায়। শুক্রবার, ২৬ মার্চ ছবিটা মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহ ও সিনেপ্লেক্স-এ। সপরিবারে দেখার মতো, দেখে উপভোগ করার মতো একটি ছবি। সবাইকে দেখার আমন্ত্রণ রইলো। ফেসবুক থেকে