ইসমাঈল ইমু: [২] শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের আখাউড়া-আগরতলা, বেনাপোল-পেট্রাপোল ও বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী আইসিপিসমূহে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ কর্তৃক জমকালো যৌথ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
[৪] যৌথ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ প্যারেডে বিজিবি- বিএসএফ এর কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সর্বস্তরের জনগণ দর্শনার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
[৫] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ-ভারতের জনগণের মধ্যে যে বন্ধুপ্রতীম ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিলো সেই ভাতৃত্ববোধ সম্প্রসারণের পাশাপাশি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এ ‘রিট্রিট সিরিমনি’।
[৬] সীমান্তজুড়ে ৫৭৮টি বিওপিতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ওঠে, দৃশ্যমান হয় বাংলাদেশের মানচিত্র। সন্ধ্যায় সামরিক কায়দায় পতাকা নামানোর আয়োজনকে বলে বিটিং রিট্রিট। পাকিস্তান-ভারত সীমান্তের ওয়াগাহ-আত্তারি পয়েন্টে দুই দেশের পতাকা নামানোর সময় এক জমকালো আয়োজন করে বিএসএফ ও পাকিস্তান রেঞ্জার্স।
[৭] ১৯৫৯ সাল থেকে এটা হয়ে আসছে। বেনাপোল সীমান্তে এটা ২০১৩ সাল থেকে হয়ে আসছে। এরপর ২০১৮ সালে বাংলাবান্ধা সীমান্তেও এই বিটিং রিট্রিট সিরিমনি শুরু হয়। এটা মূলত ব্রিটিশ মিলিটারির হেরিটেজ। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে এই কালারফুল কর্মসূচি অবদান রাখে বলেই ধারণা সমরবিদের।