স্পোর্টস ডেস্ক : নিজের চুল কেটে বাল্য বিয়ে ঠেকিয়েছিলেন ফুটবলার মিলি। ১৩ বছর বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াবস্থায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা ফুটবল টুর্নামেন্টে জেলা পর্যায়ে খেলার সুযোগ পায় মিলি। সেই খেলায় ভালো পারফর্মেন্স করে সে। এতে খেলার প্রতি আকৃষ্ট হয়। তবে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার পরিবার। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মিলিকে বিয়ে দিতে চায় পরিবার। এতে বিয়ে এড়াতে কৌশলে মাথার চুল কেটে ফেলে ফুটবল খেলায় মনোনিবেশ করে। পরে ধীরে ধীরে মিলি ফুটবলে ভালো করে। ভর্তি হয় মোনালিসা উইমেন্স স্পোর্টস একাডেমিতে।
শুধু মিলি বা ঋতুই নয় টাঙ্গাইলে হাজারও জয়িতা, বৈরীতা ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
এবিষয়ে ফুটবলার সেলিনা তার গল্প বলেন। তিনি জানান, প্রতিবেশি অনেক মানুষই আমার বাবা-মাকে বলতো মেয়েকে খেলাধুলা না করার জন্য। খেলাধুলা করলে মেয়ের বিয়ে হবে না। পরে এক পর্যায়ে পরিবার থেকেও খেলাধুলা করতে নিষেধ করা হয়। এরপর অনেক কষ্ট করে খেলাধুলা ধরে রেখেছিলাম। আবার যখন দুই বছর পর আরও একটু বড় হলাম তখনও মানুষজন ভিন্নভাবে কটূ কথা শোনাতো। এখন বড় হয়ে গেছি। সবাই বলে, এখন খেলাধুলা করতে হবে না। আবার হাফ প্যান্ট পরে খেলি। এটা পছন্দ করে না অনেকেই।
ফুটবলার আম্বিয়া জানান, বাবা মারা গেছে অনেক আগেই। পরবর্তীতে কাকার কাছে মানুষ হয়েছি। বাড়ি থেকে কোনও সহযোগিতা পাইনি। বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছে অনেক। পরে কৌশলে বাড়ি থেকে চলে গিয়ে ফুটবল ক্লাবের ম্যাডামের সহতায়তায় খেলাধুলা করছি। বাড়িতে সম্প্রতি ফোন করে খরচ চেয়েছিলাম দেয়নি। তারা বলেছে, আমার জন্য খরচ চালানো নাকি হারাম। সবার অমতে খেলাধুলা করায় পরিবার থেকে কোনও সহায়তা পাই না। বাড়িতে গেলেই তারা আমাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিবে। আমি খেলাধুলা করতে চাই। - চ্যানেলআই/ আরটিভি/ ঢাকাপোষ্ট