মো.ইউসুফ মিয়া: [২] জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলহিজলী গ্রামে চুরির অভিযোগে এক যুবককে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এ সময় বাধা দেয়ায় তার মা-বাবাকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[৩] সোমবার বিকেলে এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
[৪] নির্যাতনের শিকার যুবক অচিন্ত কুমার মন্ডল (২৫) বিলহিজলী গ্রামের অধির কুমার মন্ডলের ছেলে।
[৫] উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলহিজলী গ্রামের অধির কুমার মন্ডলের স্ত্রী নমিতা মন্ডল বলেন, গত ৬ মার্চ দিবাগত রাতে পাশ্ববর্তী রেজাউল ইসলাম ওরফে রেজার বাড়ীতে কে বা কাহারা চুরির ঘটনা ঘটায়। গত ৭ মার্চ রেজাউল, জিয়া ময়েন উদ্দিনসহ তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমার বাড়ীতে এসে হামলা করে। আমার ছেলে অচিন্ত কুমার মন্ডল (২৫) কে ঘুমন্ত অবস্থায় ডেকে তাকে চুরির অপবাধ দিয়ে বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে যায়।
[৬] আমি ও আমার স্বামী বাধা দিলে কিলঘুষি, লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে তাদের হাতে থাকা কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারপিঠ করে। এরপর আমার ছেলেকে নিয়ে যায়। পরে আমার ছেলেকে রেজা তার লিচু বাগানে নিয়ে লোহার রড, কাঠের বাটাম, হাতুড়ি দিয়ে আমার ছেলেকে গাছের সাথে বেধে অমানবিকভাবে শারীরিক নিযার্তন করে। আমার ছেলে বর্তমানে মৃত্যু প্রায়।
[৭] পরে আমাদের বাড়ীতে এসে পুনরায় বাড়ীঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য আমাদের হুমকি প্রদর্শন করে। রেজা বলে যে আজকের মধ্যে বাড়ী ঘর ছেড়ে চলে না গেলে রাতে এসে হত্যা করিয়া লাশ গুম করে ফেলিবো। বিষয়টি পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনার পর সোমবার বিকালে বালিয়াকান্দি থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ছেলেকে মারাত্বক আহত অবস্থায় বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চিকিৎসাধীন রয়েছে।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকালে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছে।
[৮] তিনি আরো বলেন, আমার ছেলেকে মারপিঠ করে পায়ের আংগুল ভেঙ্গে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে অসংখ্য ক্ষতের চিহৃ। আমি সঠিক বিচার দাবী করছি।
[৯] অভিযুক্ত রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, অচিন্ত মন্ডল একজন চিহিৃত চোর। সে আমার বাড়ী থেকে চুরি করেছে। স্থানীয় লোকজন তাকে গণধোলাই দিয়েছে।
[১০] বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ