কূটনৈতিক প্রতিবেদক:[২] জাহাজ দুটি আট থেকে ১০ মার্চ মংলা সবন্দর সফর করবে বলে জানিয়েছে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন। এটি প্রথমবারের মতো ভারতীয় জাহাজের মংলা সফর।
[৩] সফরকালে ভারতীয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তারা ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর মংলায় গানবোট পলাশে করে যুদ্ধরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
[৪] ভারতীয় জাহাজগুলি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাবে এবং সশস্ত্র বাহিনী যাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দেবে।
[৫] বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাথে পেশাগত আলোচনা এবং মংলা ও খুলনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে। উভয় বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে প্রীতি খেলাধুলা এবং জাহাজে সফরের ব্যবস্থা থাকবে।
[৬] ১০ মার্চ যাত্রা করার সময়, উভয় নৌবাহিনী একটি যৌথ মহড়া পরিচালনা করবে। এই সফর ভারতীয় ও বাংলাদেশ মধ্যকার দৃঢ় ও সমৃদ্ধ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
[৭] আইএনএস সুমেধা জাহাজটির নেতৃত্বে রয়েছেন কমান্ডার গৌরব দুর্গাপ্রসাদ এবং ভারতের বিশাল বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইইজেড) টহল ও নজরদারি করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে। প্রধান বন্দুক এবং অ্যান্টি এয়ারক্রাফট বন্দুকের পাশাপাশি, জাহাজটিতে একটি আলুয়েট হেলিকপ্টারও রয়েছে।
[৮] আইএনএস কুলিশ জাহাজটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কমান্ডার সঞ্জীব অগ্নিহোত্রী এবং এটি সারফেস টু সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র, প্রধান বন্দুক, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান এবং অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা সজ্জিত রয়েছে। জাহাজে অ্যান্টি-সারফেস ওয়ারফেয়ার অভিযানের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত। এটি হেলিকপ্টার পরিচালনা করতেও সক্ষম।