শিমুল মাহমুদ: [২] বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ৭ মার্চ যারা রেসকোর্সে ময়দানে উপস্থিত ছিলো তাদের মধ্যে আমি একজন। বাঙালি স্বাধীন হবে, বুকে মধ্যে ধুক ধুক করছে কখন ঘোষণা আসবে, এই বুঝি উনি ঘোষণা দেবেন। ৭ মার্চে উনি ভাষণ দিলেন। কিন্তু সেই ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা আসলো না।
[৩] তারপরের দিন আওয়ামী লীগ থেকে একটা প্রেসনোট দেয়া হলো। সেই প্রেসনোটে তাজউদ্দিন আহমেদ সাহেব স্বাক্ষর করলেন এবং সেখানে বলা হলো যে, বাঙালি অধিকার আদায় করার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ক্ষমতায় আসার জন্য এই ভাষণ দেয়া হয়েছে। এই ভাষণে সেটা উনি (শেখ মুজিবুর রহমান) পরিস্কার করেছেন। তাহলে সেটা স্বাধীনতার ঘোষণা না।
[৪] সেটা আওয়ামী লীগের প্রেসনোটে পাওয়া গেলো। আমরা বলতে চাই, স্বাধীনতা ঘোষণা ও ৭ মার্চের ভাষণ এক জিনিস না। সেই ভাষণ যদি স্বাধীনতার ঘোষণাই হতো, আওয়ামী লীগের প্রচারই যদি মেনে নেই তাহলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ২৬ তারিখে প্রথম প্রহরে কালুরঘাট রেডিও সেন্টারে যখন ঘোষণা করলেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। আমি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম।
[৫] যদি স্বাধীনতার ঘোষণা উনি (শেখ মুজিবুর রহমান) আগেই দিয়ে থাকেন তাহলে পরে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতারা জিয়াউর রহমানের সাহেবের কাছে নতুন করে স্ক্রিপ্ট পাঠিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সাহেবের নামে ঘোষণা করালেন কেনো? রোববার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ৭ মার্চের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।