জাহিদুল কবির: নৌকা মার্কার নির্বাচনী প্রচারনা চালানোর জের ধরে বিএনপি-জামাতের সদস্যরা যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। চাঁচড়া রায় পাড়ার আঃ আলীমের স্ত্রী মোছাঃ ছবেদা বেগম (৫০) শুক্রবার গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৮/৯ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে চাঁচড়া রায় পাড়ার ফারুক পকেটমারের ছেলে কুদরত (৩০) তারেকের ছেলে ইমন (২২) পিতা অজ্ঞাত হৃদয় (২৪) মৃত শাহ আলমের ছেলে জুয়েল (২৮) পিতা অজ্ঞাত রবি (২৫) পিতা অজ্ঞাত মিলন (২৭) মৃত শাহ আলমের ছেলে শাওন ওরফে পটকে শাওন (২৫) লাভলুর ছেলে শয়ন (২৪)সহ অজ্ঞাত নামা ৮/৯ জন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা বিএনপি-জামাতের সক্রিয় সদস্য। আসামিরা সরকার বিরোধি আন্দোলনসহ বিভিন্ন নাশকতা মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। আসামিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, চুরি ও সরকার বিরোধী মামলা রয়েছে। আসামিরা বিএনপি করার কারণে নৌকার প্রচারনা চলাতে বাধা দেয়। নৌকার প্রচারণা চালানোয় আসামিরা খুন জখম করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। নৌকার ব্যানার, পোষ্টার ছিড়ে নষ্ট করে। আমরা নৌকার প্রোগ্রাম করার প্রস্তুতি নেয়ায় ৫ মার্চ বিকেলে ৫ নং আসামি রবি মোবাইল ফোনে আমার ছেলেকে প্রচারণা চালাতে নিষেধ করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
নৌকার প্রোগ্রাম করলে আমাদের মারপিট করে খুন জখম করার হুমকি দেয়। এর পর পরই ৫ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫ টায় আসামিরা বেআইনে জনতাবদ্ধ হয়ে ধারালো দা, কুড়াল, চাকু, হাসুয়া, আগ্নেয় অস্ত্র, লোহার রড, বাশের লাঠি নিয়ে ১০/১২ মোটর সাইকেল যোগে আমাদের বাড়িতে যেয়ে হামলা চালায়। এক নং আসামি কুদরতের হুকুমে আসামিরা আমাদের বাড়িতে ঢুকে জানালা, দরজাসহ আসবাব পত্র কুপিয়ে বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি করে। আসামিদের ভয়ে আমরা বাড়ির এক ঘরে লুকিয়ে ছিলাম। কিন্তু আসামিরা সেখানেও তান্ডব চালিয়ে আমাদেরকে মারপিট করে জখম করে। আসামিরা ঘরের ওয়ার ড্রফের ভিতর থেকে ঔষধ কোম্পানীর নগদ ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন, ১ ভরি ওজনের রুলি আসামি ইমন, হৃদয় ও রবি নিয়ে যায়। আমাদের চিৎকারে এলাকাবাসি থানা পুলিশকে খবর দিলে আসামিরা আমাদেরকে বাইরে যেখানে পাবে সেখানে খুন জখম করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :