মিনহাজুল আবেদীন: [২] বুধবার বিবিসি বাংলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ইমাম হোসেন আলামিন বলেন, ১ বছর ধরে বাসার কাছে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু হয়, চলে ৯-১০ টা পর্যন্ত। সারাদিন ধরে ইট, পাথর, আর লোহা শব্দ হয়, সারারাত ধরে মালবাহী ট্রাক যাতায়াত করে। অফিস করে এসে রাতে ঠিকভাবে ঘুম হয় না।
[৩] উত্তর শাহাজাহানপুরের বাসিন্দা সেলিনা নাসরিন বলেন, বাসার পাশে ৩টি বিল্ডিংয়ের কাজ চলছে। সকাল থেকে শুরু হয় আর রাত গভীর পর্যন্ত কাজ চলে, তারপরেও কাজ শেষ হয় না। এই শব্দ দূষণের কারণে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। কিছু করার নেই, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারি না, তবে এর প্রতিকার চাই।
[৪] কক্সবাজার শহরের উত্তর দিককূল এলাকার বাসিন্দা সোনিয়া আফরিন নিশিতা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে বাসার কাছে উচ্চস্বরে ওয়াজ চলেছে, এতে পরিবারের লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কিন্তু সম্মান হারাবার ভয়ে চুপ রয়েছি। এক সপ্তাহ ভালোভাবে ঘুম হয় না। মেজাজটা খিটখিটে হয়ে গেছে।
[৫] বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের নির্বাহী সহ-সভাপতি মো. আব্দুল মতিন বলেন, এলাকাভিত্তিক কাজ শুরুর আগে সরকার ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে লিফলেট, মাইকিংয়ের মাধ্যমে আগে থেকে জানানো উচিত। নির্দিষ্ট নীতিমালা করে দেয়া উচিত হবে।
[৬] জাতীয় নাক-কান-গলা ইনিস্টিটিউটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাহফুজ আহমেদ বলেন, শব্দ দূষণের কারণে হাইপার টেনশন, হৃদরোগ, মাথাব্যথা, স্মরণশক্তি হ্রাস, স্নয়ু সমস্যা, মানসিক চাপ, কানে সমস্যা। বিশেষ করে স্থায়ী বধির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপশি স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :