লিহান লিমা: [২] ইউনিসেফের সদ্য প্রকাশিত ‘প্যানডেমিক ক্লাসরুম’ প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা ভাইরাস জনিত লকডাউনের কারণে বিশ্বজুড়ে ১৬ কোটি ৮০ লাখের বেশি শিশু গত এক বছরে পুরোপুরি স্কুল বঞ্চিত হয়েছে। ইউনিসেফওয়েব
[৩]সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এই সময়টাতে বিশ্বের সাত জনের মধ্যে একজন শিশু অর্থাৎ ২০ কোটি ৪০ লাখই সরাসরি শিক্ষা লাভ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
[৪]প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ, বলিভিয়া, এল সালভাদের, পানামাসহ ১৪টি দেশ স্কুলগুলো বন্ধ রেখেছে।
[৫]দক্ষিণ এশিয়ায় শুধুমাত্র বাংলাদেশই বছরজুড়ে স্কুল বন্ধ রেখেছে। এতে ৩ কোটি ৭০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (২২ শতাংশ)। পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত অঞ্চলের একটি দেশ বছরজুড়ে স্কুল বন্ধ রেখেছে, এতে ২ কোটি ৫০ লাখ শিশু (১৫ শতাংশ) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ৩টি দেশ বছরজুড়ে স্কুল বন্ধ রেখেছে, এতে ৯০ লাখ শিশু (৫ শতাংশ) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ৯টি দেশ স্কুল বন্ধ রাখায় ৯ কোটি ৮০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
[৬]পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকা, পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকা এবং ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলো পুরো বছর জুড়ে স্কুল বন্ধ রাখে নি। এই অঞ্চলগুলোতে কোনো শিশুই মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি।
[৭]স্কুল বন্ধের প্রভাব সম্পর্কে ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি শিশুর বেড়ে ওঠা এবং শিক্ষামূলক প্রক্রিয়ায় মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র শিশুদের আর কখনোই স্কুলে না ফেরার ঝুঁকি মারাত্মকভাবে তৈরি হয়েছে, এই অঞ্চলগুলোতে শিশুরা জোরপূর্বক শ্রম ও বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে।’