সালেহ্ বিপ্লব: [২] কানাডায় কর্মরত বিশিষ্ট এ অণুজীব বিজ্ঞানী অনুজীব বিজ্ঞানের গবেষণা এবং শিক্ষায় অসাধারণ অবদান রাখায় এ স্বীকৃতি পেলেন। ‘এক্সপেট্টিয়েট ফেলো’ ক্যাটাগরিতে তিনি এই নিয়োগ পান। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কর্মরত ১৪ জন বাংলাদেশি বিজ্ঞানীকে এই মর্যাদায় অভিসিক্ত করলো বিজ্ঞান একাডেমী।
[৩] ড. মোহাম্মদ মোর্শেদ বর্তমানে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে প্যাথোলোজি ও ল্যাবরেটরি মেডেসিন বিভাগের ক্লিনিক্যাল অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। একই সঙ্গে তিনি বৃটিশ কলম্বিয়া সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল এর পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরির জুনুটিক ও ইমার্জিং প্যাথোজেন প্রোগ্রামের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
[৪] কানাডায় পেশাগত জীবন শুরুর আগে ড. মোর্শেদ ঢাকার আইসিডিডিআরবি, শিশু হাসপাতাল, বাংলাদেশ ইন্সটি্টিউট অব চাইল্ড হেলথ এবং জাহাঙ্গীরনগ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
[৫] অণুজীব বিজ্ঞানের গবেষণা এবং শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় কানাডায়ও তিনি বিভিন্ন সময় সম্মানিত হয়েছেন।২০১৭ সালে তিনি বৃটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ‘এক্সিলেন্স ইন ক্লিনিক্যাল সার্ভিস এওয়ার্ড‘ পান। একই বছর বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পুরো কানাডা থেকে বাছাই করা ‘দ্যা আরবিসি টপ ২৫ ইমিগ্রেন্ট এওয়ার্ড পান তিনি। ২০১৯ সালে কানাডার কলেজ অব মাইক্রোবায়োলোজি তাঁকে ডিসটিঙ্গুইশ্ড মাইক্রোবায়োলোজিষ্ট এওয়ার্ড’ দেয়।
[৬] প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে ড. মোহাম্মদ মোর্শেদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বিজ্ঞানীদের নিজদেশে স্বীকৃতি দেয়ার বিজ্ঞান একাডেমীর উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান এবং তাকে মনোনীত করায় ধন্যবাদ জানান। বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো হিসেবে নিয়োগ পা্ওয়ায় দেশের বিজ্ঞান চর্চ্যায় আরো বেশি ভূমিকা রাখার দায়িত্ব তার উপর বর্তেছে বলে তিনি মনে করেন।তিনি বলেন, কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষনাগারের সাথে বাংলাদেশের যোগসূত্র ঘটিয়ে দেয়ার জন্য তিনি কাজ করে যাবেন।