শরীফ শাওন, মহসীন কবির: [২] বিল্পবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্রালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রদের সমাবেশ শুরু হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহিদ মিনার হয়ে সচিবালয়ের গেটে সমাবেশের মাধ্যমে দুপুর সোয়া ১টার দিকে কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।
[৩] ইকবাল কবির বলেন, মিছিলটি প্রথমে শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়ে, ব্যারিকেড ভেঙ্গে এগিয়ে গেলে সচিবালয়ের গেটে পুনরায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ি। তবে এসময় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
[৪] পরবর্তী কর্মসূচি বিষয়ে বলেন, ছাত্র শিক্ষকসহ বৃহত্তর মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলনের লক্ষ্যে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করি অল্প দিনের মধ্যে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে পারবো, এবং দ্রুতই তা প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে জানানো হবে।
[৫] সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’ কারাগারে লেখা থাকলেও কী আলোর পথ দেখালেন মুশতাককে? অপরাধী না নিরাপরাধ না জেনেই তিনি মৃত্যুবরণ করলেন। এ থেকেই পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের কর্মকাণ্ড স্পষ্ট। শান্তিপূর্ন মছাল মিছিলে পুলিশি হামলা, আবার তারাই বলছে ছাত্ররা তাদের আহত করেছে। তারা বলেন, সরকার যে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে তা আওয়ামী লীগের ও লুটপাটের সুবর্ণজয়ন্তী। তারা ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদের দিয়ে ব্যালট চুরি করিয়েছে, ১৯৭১ সাল থেকেই দেশের মানুষকে অপমাণিত করছে।
[৬] তারা জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি, কারাগারে মুশতাক হত্যার বিচার, কারাবন্দি ৭ ছাত্র নেতা এবং খুলনার ১জন শ্রমিক নেতার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :