সোহেল রহমান: [২] চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী’ (এডিপি)-এর আকার ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। [৩] সংশোধিত এডিপি-তে এর আকার কমে দাঁড়াতে পারে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। [৪] অর্থাৎ সংশোধিত বাজেটে এডিপি’র আকার কমছে প্রায় ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
[৫] পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, এডিপি-তে কাটছাঁটকৃত অর্থের পুরোটাই যাচ্ছে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলো থেকে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি তহবিল থেকে কোনো অর্থ কাটছাঁট করা হচ্ছে না। প্রসঙ্গত: গত ২০১৯-২০ অর্থবছরেও মূল এডিপি থেকে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প থেকে বৈদেশিক অর্থায়ন কাটছাঁট করা হয়েছিল। [৬] সংশোধিত এডিপি-তে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা হিসেবে বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে ৬৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে।
[৭] এদিকে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি’র যে আকার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা গত অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি’র তুলনায় ৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।
[৮] গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি’র আকার ছিল ১ লাখ ৯২ হাজার ৯২১ কোটি টাকা।
[৯] জানা যায়, সংশোধিত এডিপি-তে কয়েকটি খাতে বরাদ্দ যেমন কমছে, তেমনি কয়েকটি খাতে বাড়ছে। এর মধ্যে পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে সংশোধিত এডিপি-তে ১৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে (মূল এডিপি বরাদ্দ ছিল ১৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা), স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্য্যা ও পরিবার কল্যাণ খাতে ১৪ হাজার ৯২১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে (মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা), শিক্ষা ও ধর্ম খাতে ২৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে (মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা), ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাতে সংশোধিত এডিপি-তে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ২৬ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা (মূল এডিপি-তে বরাদ্দ ছিল ২৫ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা)।
[১০] অন্যদিকে বিদ্যুৎ খাতে সংশোধিত বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা (মূল এডিপি-তে ছিল ২৪ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা), পরিবহন খাতে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ৪৯ হাজার ২১২ কোটি টাকা (মূল এডিপি-তে বরাদ্দ ছিল ৫২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা), বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সংশোধিত বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ১১ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা (মূল এডিপি-তে বরাদ্দ ছিল ১৮ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা)।