শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৯:৪৬ সকাল
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৯:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ঝিনাইদহে মানুষ হত্যার কৌশল শেখানোর নাটক সাজিয়ে হত্যা

ফিরোজ আহম্মেদ:[২] পৌরসভার মুরারীদহ গ্রামের মৃত গোলাম আকবরের ছেলে রেজাউল ও তার বড় ভাই আদিল উদ্দিনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল একই এলাকার মৃত রহিম বক্সের ছেলে বসির উদ্দিনের। এনিয়ে বসির উদ্দিন রেজাউল ও আদিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা, হুমকি ও মারধর করে আসছিল। বিচার পেতে আদালতের দারস্ত হয় আদিল উদ্দিন। এ ঘটনা নিয়ে ২০০৮ সালের ১৬ আগস্ট আদিল উদ্দিন বসিরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় হামলা ও মারপিটের এজাহার দায়ের করে।

[৩] এছাড়াও পরের বছর ২০০৯ সালের ২১ অক্টোবর রাজ্জাক, বসির ও কবিরের বিরুদ্ধে যেকোন সময় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে খুন যখমের বিষয়ে থানায় জিডি করেন। এরপরই ক্ষিপ্ত হয় বসির ও তার সহযোগিরা। শুরু করে হত্যার পরিকল্পনা। ভ্যানচালক রেজাউলকে হত্যা করতে ৫০ হাজার টাকা চুক্তি করেন শহরের আরাপপুর মাঝিপাড়া এলাকার অজিত বিশ্বাসের ছেলে রনজিত বিশ্বাসের সাথে। চলে হত্যার পরিকল্পনা। ঘটনার দিন ২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মোবাইলে রেজাউলকে ডেকে নিয়ে ক্যাডেট কলেজের পেছনের জনৈক দেলোয়ার হোসেনের বাগানে নিয়ে যায় রঞ্জিত।

[৪] সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল আরাপপুর মাঝিপাড়ার মৃত নুর আলীর ছেলে আকতার, সদর উপজেলার হুদাপুটিয়া গ্রামের শহর আলীর ছেলে মঞ্জুর আলম, আরাপপুর এলাকার কুদ্দুস আলী শেখের ছেলে রাজু শেখ, আরাপপুর বিশ্বাস পাড়ার মহিন আলী বিশ্বাসের ছেলে আরিফ হোসেন। বশির রেজাউলকে হত্যা করতে ৫০ হাজার টাকা চুক্তি করেছে এ নিয়ে ওই ৫ জনের মধ্যে আলোচনা চলে।

[৫] রেজাউল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রঞ্জিতের কাছে থাকা পাইপগান কিভাবে চালাতে হয় তা শেখায়। মানুষ হত্যা করতে কিভাবে হাত-মুখ বাঁধতে হয় তা শেখানোর জন্য রেজাউলকে হাত বাধে রঞ্জিত। হাত বাঁধার পর গামছা গলায় পেঁচিয়ে রেজাউলকে মাটিতে ফেলে দেয় রঞ্জিত। বাঁচার জন্য রেজাউল হাত-পা ছুড়লে আরিফ ও মঞ্জুর রেজাউলের ২ পা চেপে ধরে। এ অবস্থায় আকতার ধারালো ছুরি দিয়ে রেজাউলকে হত্যা করে। মৃত নিশ্চিত করে গামছা খুলে মাটিতে পুতে দেয় আরিফ।

[৬] রেজাউলের মোবাইল নেয় আকতার। পাশের পুকুর থেকে রক্ত ধুয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সবাই। হত্যার এই লৌমহর্ষক বর্ননা উঠে এসেছে রাজু, আরিফ ও মঞ্জুরের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবাববন্দিতে।এ ঘটনার পরদিক সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে বশির উদ্দিন, একই গ্রামের রাজ্জাক হোসেনের ছেলে আবুল কাশেম ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কবির হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়