খালেদ মুহিউদ্দীন: সৈয়দ আবুল মকসুদকে নিয়ে অনেকে লিখছেন। আমিও দুই লাইন লিখবো বলে সারাদিন ভেবেছি, কিনারা করে উঠতে পারিনি। আমি তার লেখা পছন্দ করতাম, অনায়াস একটা উইট ছিলো তার। কিন্তু মানুষ সৈয়দও নানা কারণে প্রিয় ছিলেন আমার। এর একটা কারণ তো বটেই যে, গবেষণা বা লেখালেখি মানে তিনি যা করতেন তা খুব ভালো করতেন। আরেকটা হলো আমাকে খুব পছন্দ করতেন তিনি, বাড়াবাড়ি সব কথা বলে দারুণ বিব্রত করেছেন তিনি আমারে কতো সময়। তাকে নিয়ে আমার জ্বালা ছিলো এই তিনি খুব বলিয়ে কইয়ে ছিলেন না। ওইরকম চোখা মননের মানুষটি টেলিভিশনে কেমন যেন আড়ষ্ট হয়ে থাকতেন-পিট সামপ্রাস যেন ফরাসি ওপেন খেলতে আসছেন। তাই তাকে নিয়ে খুব বেশিবার ক্যামেরার সামনে বসিনি, আবডালে বহুবার কতো কিছু জেনেছি, মূর্খ শিরোমনি হয়ে তর্ক করেছি। এগুলোও মামুলি কথা। আমার চোখে তিনি কেন এতো অসাধারণ সেকথা বলি। তার এক সন্তানের হঠাৎ জটিল এক স্নায়ুরোগ দেখা দিলো।
অনেক টাকার চিকিৎসা। হাসপাতালের মালিক তার বিরাট ভক্ত। খুবই কাঁচুমাচু হয়ে তাকে বললেন, তিনি এই ১৮-২০ লাখ খরচের পুরোটা উপহার দিতে চান। বিনয়ের সঙ্গে তা নিতে অস্বীকৃতি জানান সৈয়দ সাহেব। বলেন, তিনি কয়েক কিস্তিতে পাওনা পরিশোধ করবেন, এটুকুু সুবিধাই তার জন্য যথেষ্ট। হাসপাতালের মালিক যখন গল্পটা বলেন, আনন্দে আমার চোখ চকচক করে উঠে। এই ঘোর অমানিশায় কেউ কেউ থাকেন যারা শুধু ভ‚ষাতেই নন অন্তরেও সাধু। ফেসবুক থেকে