আব্দুম মুনিব:[২] কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার এলংগী পাড়ায় বংশ পরম্পরায় প্রায় শতবছর ধরে ঝাড়ু বা বারুন তৈরি করা হয়। স্বীকৃতি না মেলায় বিলুপ্তির পথে এই শিল্প। এই কুটির শিল্পের প্রধান কাঁচামাল ছনখড়, যা প্রাকৃতিক উপায়ে পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বেশি জন্মে।
[৩] নদী এলাকা ছাড়াও কৃষকের পতিত উচু ভূমিতেও দেখা মেলে ছনখড়ের। বাসাবাড়ি কিংবা রাস্তঘাট সব স্থানে পরিস্কার পরিছন্নতার কাজে ব্যবহৃত হয় হাতে তৈরি এই ঝাড়ু। বারুন বা ঝাড়ু পট্টি হিসেবেই বেশি পরিচিত আছে এলাকাটির। শত বছরের ঐতিহ্য থাকলেও মেলেনি কুটির শিল্প হিসেবে বিসিকের স্বীকৃতি।
[৪] ফলে সরকারি বে-সরকারি অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই শিল্পের শতাধিক পরিবারের কারিগররা। প্রতিটি বারুন বা ঝাড়ু তৈরিতে খরচ হয় ৩ থেকে ৪ টাকা এবং বাজারে বিক্রি হয় ৬ থেকে ৭ টাকা। দলবদ্ধভাবে কাজ করলে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ শত বারুন তৈরি করা যায়। এখানকার কারিগররা জানায়, ঝাড়ু তৈরির প্রধান কাঁচামাল দূরদুরান্ত হতে কিনে আনতে হয়। বছরের চৈত্র, বৈশাখ মাসসহ মাত্র কয়েকমাস পর্যাপ্ত ছনখড় পাওয়া যায়।
[৫] কিন্তু সারাবছর কাজ চলমান রাখার জন্য কাঁচামাল কিনে মজুদ রাখতে হয়। এখানকার কারিগররা আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় পর্যাপ্ত কাঁচামাল কিনে মজুদ করতে পারেনা। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া বিসিকের ডিজি সোলাইমান হোসেন বলেন, গনমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি এলংগী এলাকায় প্রায় শতবছর ধরে শতাধিক পরিবার ঝাড়ু বা বারুন তৈরি করে। পরিদর্শন করা হয়েছে প্রথমে তাদের স্বীকৃতি এবং পরে সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন