নুর হাছান : [২ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ঘুরে প্রভোস্টরা শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার অনুরোধ করলেও নিরাপত্তার কথা বলে এখনও হলগুলোতে অবস্থান করছে তারা ।
[৩] একই দিন সকাল সোয়া ১১টায় ছাত্রদের হলগুলোতে প্রাধ্যক্ষদের এবং অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের উপস্থিতিতে তারা হলগুলোতে যান । এসময় আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, 'আমরা সরকারের নির্দেশনা জানাতে এসেছি। আইন ভঙ্গ করে হলে অবস্থান করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করছি যাতে তারা আইন মেনে হল ছেড়ে দেন।'
[৪] শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে যেতে পারেন। গেরুয়া এলাকার বিকল্প তো হল হতে পারে না।' শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি জানান, 'গেরুয়া এলাকার সমস্যার ব্যাপারে আমরা কথা বলছি। আর আশুলিয়া থানায় মামলা করেছি।' অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা কোনভাবেই হল ছাড়বে না বলে প্রভোস্টকে জানিয়ে দিয়েছে।
[৫] প্রভোস্টের প্রশ্নের জবাবে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, 'আমাদের অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা চলছে। গ্রামের বাড়িতে নেট সমস্যা থাকায় ক্লাস-পরীক্ষায় অংগ্রহণ করা যায় না।'
[৬] মেহেদী আরও বলেন,'টিউশনি করে আমাকে চলতে হয় ও পরিবারকেও টাকা দিতে হয়। হলের বাইরে থাকা আমার জন্য নিরাপদ নয়।' এর পূর্বে সকাল সাড়ে ৯ টায় প্রভোস্ট কমিটির মিটিং শুরু হয়। ১১ টায় মিটিং শেষে সাংবাদিকদের জানানো হয় প্রতি হলে প্রভোস্টদের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হবে। প্রভোস্টরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করবেন ও বুঝাবেন যাতে তারা আইন মেনে হল ত্যাগ করে।'
[৭] এদিকে রোববার রাতে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়ে সোমবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন । তবে শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ মিছিলে নিয়ে বঙ্গমাতা হলের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে।
[৮] শিক্ষার্থীরা নিয়ম ভঙ্গ করে হলে অবস্থান করলে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহা.মুজিবুর রহমান।