আবদুল আলী :[২] প্রবাদ আছে হলুদ সব তরকারীতে লাগে আর তরকারী সুন্দর করতে মসলার অন্যতম উপাদান হলুদ।আর হলুদ চাষে পাহাড়ের ঝুরি নেই। পাহাড়ের মাটিতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য হলুদ দেশসেরা । এখানকার উর্বর মাটি ও আবহাওয়া সহায়ক হওয়ায় উৎপাদিত পণ্য গুণে-মানে সেরা।
[৩] আর দেশের খ্যাতি অর্জন করে পাহাড়ে কৃষিপণ্যের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে ‘হলুদ’। মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে এ হলুদ সংগ্রহে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে আসেন ব্যবসায়ীরা।
[৪] পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া সহায়ক হওয়ায় জেলার ছোট ছোট কম ঢালু পাহাড়ে হলুদের চাষ হচ্ছে। রোগ বালাই কম হওয়ায় অন্যান্য মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে হলুদের চাষ করে অনেকেই লাভের মুখ দেখেছেন।অনেক কৃষক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে করেছেন হলুদের চাষ।
[৫] তবে ইদানিং দেশখ্যাত এ হলুদ চাষ নিয়ে কৃষক এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
কারণ বিভিন্ন স্থানে এসব হলুদের চাহিদা থাকলেও বাইরে থেকে আসা হলুদের কারণে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না তারা।জেলার গুইমারা উপজেলার ছনখোলা পাড়ার কংজ মারমা ও উতুল মারমা বলেন, এ বছর ১ একর জায়গায় হলুদ চাষ করেছি।
[৬] তবে এখনো বাজারে তুলিনি। জমি থেকে হলুদ তুলে প্রক্রিয়াজাত করছি। কিন্তু বাজারে হলুদের দাম শুনে তো হতাশ আমি। আগে যেখানে হলুদের দাম মণ প্রতি ৮ থেকে ১০হাজার টাকা ছিল সেই হলুদ এখন বিক্রি হচ্ছে সাড়ে( ৩৫০০) হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকায়। তৈকর্মা এলাকার হলুদ চাষি রাজীবন ত্রিপুরা ও জয়নাল আবেদীন বলে হলুদ চাষ করে হলুদ বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে পারলেও লাভের মুখ দেখবো কিনা বুঝতে পারছিনা।
[৭] এদিকে, সরেজমিন খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, হলুদের ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে। ট্রাকে ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হচ্ছে বিখ্যাত এ হলুদ। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :