সুমাইয়া ঐশী: [২] আফ্রিকা মহাদেশের নিজস্ব ভাষা আছে ২ হাজার ১৪০ টি। বৈশ্বিক জনসংখ্যার সাতভাগের একভাগ মানুষ আফ্রিকায় বসবাস করলেও সমগ্র বিশ্বের এক তৃতিয়াংশ ভাষাই এই মহাদেশের দখলে। তবুও চর্চার অভাবে বিলুপ্ত হতে চলেছে দেশটির নিজস্ব ভাষাগুলো। ডয়েচে ভেলে
[৩] নাইজেরিয়ায় ৫১৫টি, ক্যেমেরুনে ২৭৪, কঙ্গোতে ২১২ এবং তানজানিয়াতে ১২৫টি মাতৃভাষা আছে। তবে এসব দেশের বেশিরভাগ মানুষই ইংরেজি এবং আরবি ভাষা ব্যবহারে অভ্যস্ত। এর প্রভাব আফ্রিকার শিক্ষাব্যবস্থার ওপরও দৃশ্যমান।
[৪] আফ্রিকায় এই বিরাট সংখ্যক ভাষার একটি অন্যতম কারণ হলো, মানবসৃষ্ট সীমানা এই মহাদেশের একাধিক জাতিকে ভিন্নভিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সংস্কৃতি চালু করতে বাধ্য করেছে। তবে স্বাধীনতার পর সকলকে এক সুতায় বাঁধতে নির্দিষ্ট ভাষা নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে। ঐসময় অনেকেই একতার স্বার্থে ফরাসি, ইংরেজি ও পর্তুগিজ ভাষা বেছে নেয়।
[৫] আফ্রিকায় বিশেষ করে তানজানিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্যন্ত মাতৃভাষা ব্যবহার করা হয়। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয় ইংরেজিতে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণে সৃষ্টি হয় প্রতিবন্ধকতা।
[৬] এদিকে, অনেক গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আঞ্চলিক ভাষার ব্যাপক ব্যবহার আছে। এটি একদিকে যেমন স্বস্তিদায়ক, অন্যদিকে হতাশাজনকও বটে। এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা ইংরেজির দক্ষতায় পিছিয়ে পড়ে, ফলে চাকরির বাজারে তাদের হোঁচট খেতে হয়। তাই ভারসাম্য বজায় রেখে আঞ্চলিক ও উপনিবেশিক উভয় ভাষাই রপ্ত করা দরকার। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল
আপনার মতামত লিখুন :