তরিকুল ইসলাম: [২] প্লাস্টিক, সিরামিক, দস্তা ও অ্যালুমিনিয়ামে চাহিদা হারাচ্ছে মাটির তৈজসপত্র।
[৩] পাল সম্প্রদায় ও কুমারপাড়া শিল্পীরা বলছেন, বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা কমে যাওয়া, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি ও উন্নত প্রযুক্তির প্রভাবে এ শিল্পের চাহিদা কমতে থাকায় অন্য পেশায় ঝুঁকছেন তারা।
[৪] বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকলের সঞ্জীব পাল বলেন, বংশ পরম্পরায় আমাদের তিন পুরুষ এ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তৈজসপত্রের চাহিদা কম ও বেশি খরচ করেও উপযুক্ত পারিশ্রমিক না পেয়ে বর্তমান প্রজন্মের পালেরা কৃষি, দিন মজুর, অটো চালক ও স্বর্ণের দোকানে কাজ করছেন।
[৫] রাজবাড়ির তেতুলিয়ার কেস্টো পাল জানান, নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন মাটি সংগ্রহে অনেক খরচ হয়। কিন্তু তৈরি পণ্যের সে অনুযায়ী দাম পান না।
[৬] মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার নরেশ পাল বলেন, আগে বাসনকোসন, হাঁড়ি কলসি, পাতিল, সরা, মুড়ি ভাজার খোলা, গরুর খাবারের ডাবা, মাটির ব্যাংক, পিঠা তৈরির চাঁচ, পুতুল, খেলনা তৈরি করতাম। এখন দইয়ের পাত্র ও খোলা তৈরি করে জীবন চলে।
[৭] যশোরের মনিরামপুর, সাতক্ষীরার কলারোয়া, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, গাইবান্ধার রাঁধাকৃষ্ণপুর, শরীয়ত পুরের নড়িয়া, বরিশালের গৈলা ও কলসকাঠি, পিরোজপুরের মূল্য গ্রাম, কোটালি পড়ার হিরেন বাজার, পটুয়াখালির চামড়া পাল বাড়ি, সাভার, কুমিল্লার বিজয়পুরে মৃৎশিল্পীরা এমন তথ্য দেন।
[৮] সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ ও ঋণ সুবিধার মাধ্যমে পাল সম্প্রদায়ের বংশ পরম্পরা রক্ষায় এগিয়ে আসাসহ কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে বিসিক। এতে দেশ ও বিদেশে মৃৎপণ্যের চাহিদা ও মান বাড়বে। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু