লিহান লিমা: [২] গত ৯ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ জলকামান, রাবার বুলেট ও গুলি নিক্ষেপ করার সময় মারাত্মকভাবে আহত হন ২০ বছরের তরুণী মি থোয়ি কাইং। টানা এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর শুক্রবার সকাল ১১তার তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে নেপিদোর হাসপাতাল। বিবিসি,গার্ডিয়ান,সিএনএন
[৩] ওই হাসপাতালের এক ডাক্তার এএফপিকে জানান, তার মাথায় মারাত্মকভাবে গুলির আঘাত লেগেছিলো। তাকে আইসিউতে রাখা হয়। তিনি আরো বলেন, মি থোয়িকে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে উপরমহল থেকে চাপ আসছিলো। আমরা অবশ্যই ন্যায়বিচার দাবী করবো।
[৪] মি থোয়ির পরিবারের সব সদস্য দেশটির নেত্রী অং সান সু চীর ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এর সমর্থক। তার ভাই জানান, গত নভেম্বরের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দিয়ে ছিলেন মি।
[৫] গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর চলমান বিক্ষোভ ও গণআন্দোলনে প্রথম প্রাণ হারালেন মি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ মি এর মৃত্যু ও মিয়ানমারের জনগণের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর প্রকাশ্যে গুলি ব্যবহার অবশ্যই তদন্ত করতে হবে।’ এ সময় সংস্থাটি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক তদন্ত ও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানায়।
আপনার মতামত লিখুন :