আনিস তপন : [২] বাঙ্গালী জাতির মুক্তিসংগ্রামের নেপথ্য কারিগর বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে অর্থনীতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, সমাজসেবা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণাসহ সরকার নির্বাচিত অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে এই পদক দেওয়া হবে।
[৩] পদক পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের অবদানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া মরণোত্তরও এই পদক দেওয়া যাবে।
[৪] পদক হিসেবে ১৮ ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে নির্মিত একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, চার লাখ টাকার ক্রসড চেকসহ একটি সম্মাননা সনদ দেওয়া হবে। প্রতি বছর সর্বোচ্চ পাঁচটি পদক দেওয়া হবে। তবে কোনও ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রার্থী না পেলে পদক সংখ্যা কোনও বৎসর হ্রাস পেতে পারে।
[৫] পদক প্রাপ্ত ব্যক্তি পুনরায় যেমন পদকের জন্য বিবেচিত হবেন না, তেমনই রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ/ফৌজদারি আইনে শাস্তি পাওয়া বা অভিযুক্ত, দণ্ডিত বা দেউলিয়া কোনও ব্যক্তি এই পদক পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না।
[৬] প্রতি বছর ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদক প্রদানের প্রস্তাব/মনোনয়ন আহবান করবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এজন্য ইলেক্ট্রনিক/প্রিন্ট মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
[৭] গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব কমিটিতে এ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া অনুমোদন করা হয়। এটি প্রস্তুত করেছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
[৮] গেলো বছর ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রতি বছরের ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী জাতীয়ভাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব