শরীফ শাওন: [২] মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি কমানো বা অশ্বশক্তি বাড়ানো পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে না। ২০২০ সালের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান মতে, যানবাহন দুর্ঘটনার ২৪ দশমিক ৮ শতাংশই ঘটেছে মোটরসাইকেলে। ২০১৯ সালে তা ২১ দশমিক ৪ শতাংশ ছিলো। ১ বছরে মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনার হার বেড়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
[৩] শনিবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতিরি বিবৃতিতে ঘনবসতির দেশে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং গণপরিবহনের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে কমাকে ভুলনীতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত ৪৪ লাখ যানবাহনের বিপরীতে ৩১ লাখ মোটরসাইকেল রয়েছে। এতে অচীরেই যাতায়াত ব্যবস্থা কঠিন হয়ে পড়বে।
[৪] সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, দেশে মানসম্মত গণপরিবহনের অভাব, যাত্রী হয়রানী, ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রীসেবার মান, কর্মসংস্থানের অভাবসহ নানা কারণে মানুষ মোটরসাইকেলকে নিরাপদ বাহন ও কর্মসংস্থানের বিকল্প উপায় হিসেবে মনে করছে। আদর্শ রাষ্ট্রে গণপরিবহনকে বিকশিত করার কোন বিকল্প নেই।
[৫] তিনি বলেন, দেশের একমাত্র এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া-পাঁচ্চর জাতীয় মহাসড়ক ছাড়া অন্য কোন মহাসড়কে ১০০ কিলোমিটার গতিতে নিশ্চিন্তে মোটরসাইকেল চালানোর সুযোগ নেই। আলাদা লেইন না থাকায় ট্রাফিক আইন ভাঙ্গার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, মোটরচালিত রিক্সাসহ ছোট ছোট যানবাহনের বিষয়ে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
[৬] বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিবছর গড়ে সাড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার পঙ্গু রোগী মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়ে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট কমাতে চীনের ৫টি মহানগরীসহ পৃথিবীর বহু দেশের প্রধান প্রধান মহানগরীতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করেছে।