সমীরণ রায়: [২] বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের প্রধান জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের পদক্ষেপ দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের গৌরব ও মর্যাদাকে খাটো করবে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক বিভেদ-বিভাজনকে বাড়িয়ে তুলবে। রাজনীতিতে বিদ্যমান বিরোধ-বৈরীতাকে আরো উস্কিয়ে দেবে। এই পরিস্থিতি দেশের বিদ্যমান সংকটকে আরো ঘনীভূত করতে পারে।
[৩] তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী রাজনৈতিক ভূমিকার জন্য যদি বীরউত্তমসহ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব বা পদবী বাতিল করতে হয় তা অনেক অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের জন্ম দেবে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তখনও প্রতিহিংসামূলক এই ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকলে তা মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবগঁাঁথাকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
[৪] সাইফুল হক বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ জনগণই তাদের ব্যাপারে মূল্যায়ন করবে। বেআইনী বা অন্যায় কাজের সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবারও সুযোগ রয়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের সাহসী ভূমিকা মুছে ফেলার সুযোগ নেই। জাতি হিসাবে তা দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করবে না। মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ ও অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের পরিপূর্ণ সম্মানও জানানো হয়নি। রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব বাতিলের তৎপরতা থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সাইফুল হক।
[৫] শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এস কথা বলেন।