শাহীন খন্দকার: [২] স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও করোনা বিষয়ক মিডিয়া সেলের প্রধান অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা আরও জানিয়েছেন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারাক্রান্ত রোগী যদি কেমোথেরাপি অথবা রেডিওথেরাপি নিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে করোনার টিকা নেওয়া যাবে না।
[৩] অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি রোগ এসব যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শে টিকা নেওয়া যাবে। তিনি আরও জানালেন, যাদের অ্যালার্জির সমস্যা প্রকট তাদের টিকা না নেওয়াই ভালো।
[৪] এ ছাড়া যাদের হাঁপানি বা ফুসফুসজনিত অসুখ রয়েছে তাদেরও নেওয়া ঠিক হবে না। তবে সবক্ষেত্রেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানালেন তিনি।
[৫] হার্টে রিং পরানো আছে যাদের তারা টিকা নিতে পারবেন কীনা প্রশ্নে তিনি বলেন, যদি সব প্যারামিটার ঠিক থাকে, তবে অসুবিধা নেই। এক্ষেত্রে তিনি হৃদরো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে টিকা নেওয়া উত্তম বলে জানালেন।
[৬] রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী কিংবা করোনা পজিটিভ থাকা অবস্থায় টিকা নিতে পারবেন না।
[৭] তিনি আরও বলেন,‘ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস থাকলে তবে এসব নিয়ন্ত্রণে এনে টিকা নিতে পারবেন। তবে যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে নিতে পারবেন না। আমাদের দেশে যদি এসব রোগীদের ডাটাবেজ থাকতো তবে কোমরবিড (একাধিক রোগে ভুগছেন) রোগীদের আগে টিকা দিতাম।
[৮] এই বৈজ্ঞানিক আরও বলেন, ক্যান্সারে যারা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন তারা ছাড়া সবাই টিকা নিতে পারবেন। কারণ, কেমোথেরাপির একটা আলাদা রিএকশন থাকে শরীরে। শারীরিক পরিস্থিতি বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শে টিকা নেওয়া যাবে বলে জানান ডা. আলমগীর।