রাশিদুল ইসলাম : [২] মিয়ানমারের সেনা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাং সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চলমান আন্দোলনকে একদল অসাধু ব্যক্তির হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, যারা তাদের দায়িত্ব থেকে দূরে আছেন,অনুরোধ করছি তারা যেন আবেগকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থে অবিলম্বে কাজে ফেরেন। ইরাবতি
[৩] জেনারেল মিন বলেন, গণসমাবেশ থেকে করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঘটতে পারে। একই সঙ্গে তিনি ২৩ হাজার বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেন।
[৪] শুক্রবার সাধারণ ছুটির দিনে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বন্দীর সাজা মওকুফের এ ঘোষণা প্রচার করে বলা হয় শান্তি, উন্নয়ন ও শৃঙ্খলাসহ মিয়ানমার যখন একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করছে তখন মানবিক ও সহানুভূতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে বন্দীদের সাজা মওকুফ করা হয়েছে।
[৫] সাজা মওকুফ হওয়া এসব বন্দীদের মধ্যে ২৩ হাজার ৩১৪ জন দেশটির নাগরিক এবং ৫৫ জন বিদেশি।
[৬] ফেব্রুয়ারির শুরুতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় ক্ষমতাসীন দল এনএলডি’র নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে।