আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]যার খেসারত দিয়েছে ভারতের উত্তরাখণ্ড [৩] বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটিই শেষ নয়, আমরা বেঁধে দেওয়া শেষ সময়সীমার প্রথম দুবছর নষ্ট করে ফেলেছি
[৪]ভারতের দুটি বাধের উপর নান্দাদেবী হিমবাহ ভেঙে পড়াটা হুট করে ঘটেনি। অনেকদিন ধরে এই ঢালের উপর ঝুঁকে ছিলো আলগা বরফ। আমরা কেউ তা দেখিনি, কেউ সে বিষয়ে গুরুত্ব দেইনি। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাবেক প্রেসিডেন্ট মারিয়া ফারনেন্ডা এসপিওনেসা গারসেস বলেছিলেন, ১১ বছর আছে, আমাদের ভাগ্যের মোড় ঘোরানোর। তার দুই বছর পার হয়ে গেছে। আল জাজিরা
[৫] গত ৪ দশকে হিমালয়ের হিমবাহগুলোর গতি হুট করে বেড়ে গেছে। আগেই বেড়ে গিয়েছিলো হিমধস আর ভুমিধস। আমরা প্রবালের রঙ হারানোকে যতোটা গুরুত্ব দিয়েছি এ সময়ে আর অর্ধেকও দেই হিমবাহের দিকে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বিশ্বের প্রধান আইসক্যাপ আর পার্মাফ্রস্টকে মেরে ফেলছে।
[৬]ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওমরফলজিস্ট ড্যান শুগার উচু এলাকাগুলোর ভুতাত্ত্বিক পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলছেন, এই ধরণের ঘটনা এটাই প্রথম কিন্তু অবশ্যই শেষ নয়। সামনের দিনগুলোতে অজস্রবার এই ধরণের ঘটনা ঘটবে। যা আটকানো প্রায় অসম্ভব। যার খেসারত দেবে হিমালয়ের নিচের দিকে থাকা দেশগুলো। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। কারণ হিমালয় শিরদাঁড়ার মতো এই ৫ দেশকে আগলে রেখেছে।
[৭] স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, নান্দাদেবী পর্বতে তৈরি হয়েছে অজস্র হিমপুকুর। যা বরফের ঘণত্ব কমার লক্ষণ। এর নিচেই গড়ে তোলা হয়েছিলো দুটো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। শীতকালেও এই পুকুরগুলো শতভাগ জমছে না। ফলে ভারসাম্যে বড় ধরণের পরিবর্তন আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :