মঈন উদ্দীন: [২] রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকের হাতে নার্স যৌন হয়রানির শিকারের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে । গত মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীর কাছে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। তবে ওই প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে তা জানাননি হাসপাতালের পরিচালক।
[৩] এদিকে সিনিয়র স্টাফ নার্সকে যৌন হয়রানির তথ্য নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের কাছে গোপন করায় সংশ্লিষ্ট চার কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে। এর আগে ওই চার কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা দিতে ডাকা হলেও তারা যাননি। এবার তাদের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের পরিচালক (শৃঙ্খলা) শোভা শাহানাজ তাদের শোকজ করেছেন। সাত কর্মদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। শোকজপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (নার্সিং) ডা. রুমানা জামান (দায়িত্বপ্রাপ্ত), জেলা পাবলিক হেলথ নার্স ফ্রান্সিসকা সরেন, রামেক হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক আনোয়ারা খাতুন এবং উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুন।
[৪] উল্লেখ্য গত ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মামুন-অর-রহমান নামের এক চিকিৎসকের হাতে যৌন হয়রানির শিকার হন ওই সিনিয়র স্টাফ নার্স। নিয়মানুযায়ী এ চার কর্মকর্তা বিষয়টি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরকে জানাবেন। কিন্তু তারা অধিদফতরকে বিষয়টি জানাননি। পরে ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ দেখে এ ব্যাপারে অবহিত হয় অধিদফতর।
[৫] গত ২ ফেব্রুয়ারি অধিদফতরকে কেন গোপন করা হলো সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এই চার কর্মকর্তাকে অধিদফতরে ডাকা হয়েছিল। ঘটনার একটি তদন্ত করে প্রতিবেদনসহ তাদের অধিদফতরে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু এ কর্মকর্তারা ঘটনার তদন্তও করেননি, অধিদফতরেও যাননি। এর ব্যাখ্যা দিতে তাদের শোকজ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :