শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৪:৪৩ সকাল
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৪:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ পাঁচ বছরে কমেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের ঘটনা কমেছে। গতকাল রাজ্যসভায় (ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ) এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য ডা. মানস ভুঁইয়ার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। প্রশ্ন ছিল- গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বেড়েছে কি? বাংলাদেশ প্রতিদিন

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি নেতারা ‘বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ’ অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু করতে চাইছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী অনুপ্রবেশ উল্লেখজনকভাবে কম হয়েছে। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ৬৫৪টি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ১ হাজার ৬০১ জনকে আটক করা হয়। পরের বছর ২০১৭ সালে মাত্র ৪৫৬টি ঘটনা ঘটে। এতে ৯০৭ জনকে আটক করা হয়। ২০১৮ সালে অনুপ্রবেশের ঘটনা কমে দাঁড়ায় ৪২০ এবং ৮৮৪ জন আটক হয়েছে। ২০১৯ সালে অনুপ্রবেশের ঘটনা সামান্য বেড়ে হয়েছে ৫০০। আটক হয়েছে ১ হাজার ১০৯ জন। করোনা অতিমারীর বছরে ২০২০ সালে এই সংখ্যা কমে গিয়েছে। অনুপ্রবেশ ঘটেছে ৪৮৯। আটক হয়েছে ৯৫৫ জন। বিজেপি নেতারা এই অনুপ্রবেশের জন্য রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করে। তাই ডা. ভুঁইয়া প্রশ্ন করেন, এর জন্য দায়ী কে? কী ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করছেন? জবাবে প্রতিমন্ত্রী কার্যত মেনে নেন, অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে বিএসএফের ব্যর্থতা রয়েছে।

তার জন্য তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ মিললেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। অনুপ্রবেশ সম্পর্কে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ মিশনের সূত্রের মতে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা রয়েছে অনুপ্রবেশ রোখার জন্য। এসব অনুপ্রবেশের পেছনে অনভিপ্রেত কারণ রয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। করোনা অতিমারীর সময়ে স্থল সীমান্ত বন্ধ থাকায় নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য অনেক সময় নিয়ম বহির্ভূতভাবে সীমান্ত অতিক্রমণের ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই। সে জন্যই বাংলাদেশ সরকার স্থল সীমান্ত খোলার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। আপাতত বিদ্যার্থী, চিকিৎসার জন্য ব্যবসায়ীদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে। পর্যটন ভিসা এখনো চালু নয়। বেশিরভাগ নাগরিক করোনা প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার পরেই এই ভিসা চালু হতে পারে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়