ফজলুল বারী : ওষুধ কোম্পানির এজেন্ট ওষুধ কোম্পানি হয়। সেভাবে ভারতের সিরাম ইনস্টিউটের বাংলাদেশি এজেন্ট বেক্সিমকো। বাংলাদেশের শীর্ষ এই ওষুধ কোম্পানি অবশ্য শুরুতে সিরাম ইনস্টিউটের এজেন্ট হতে চায়নি। তারা সিরাম ইনস্টিউট যে টিকা বানিয়েছে তা বাংলাদেশে উৎপাদন করতে চেয়েছিল। কিন্তু সিরাম তাতে রাজি না হওয়াতে এজেন্ট হয়। এরপর আবার তারা সিরামকে বাংলাদেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছে। এরপরও পুরো প্রক্রিয়ার সাথে বেক্সিমকো জড়িত থাকার কারণ এ ধরনের টিকা গুদামজাত এবং পরিবহনের অবকাঠামো বাংলাদেশ সরকারের নেই। বেক্সিমকো কোনো রামকৃষ্ণ মিশনও নয়। তাই বাংলাদেশ সরকারের আমদানি করা টিকা গুদামজাত ও পরিবহনের চার্জটা আদায় করে নিচ্ছে। এটা বেক্সিমকো না হয়ে অন্য ওষুধ কোম্পানি হলে তাই করতো। বাংলাদেশ সরকারের আমদানি করা টিকার বাইরে বেক্সিমকো যে টিকা আমদানি করবে তা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান সমূহে বিক্রি করবে। এখন বিএনপি ধরে বসেছে এই এজেন্সি বেক্সিমকো কেন পাবে।
আরে বাবা বেক্সিমকোকে এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সরকার নয়। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় খুব স্বাভাবিক প্রতিষ্ঠানটি ফেভারও পেয়েছে। যেমন বিএনপি সরকারে থাকলে এই ফেভার বিএনপির ঘনিষ্ঠ কোনো প্রতিষ্ঠান পেতো। বিএনপির খোকন নেতা টিকা নিয়ে দেখলাম, কোনো প্রবলেম নেই বলার ফাঁকে প্রবলেম একটা বের করলেন, বেক্সিমকো কেন এজেন্সি পাবে, বেক্সিমকো কেন পাবে বলে যাচ্ছিলেন। এটাই তাদের প্রবলেম, ক্ষমতায় যে তারা নেই তা ১২ বছর হয়ে গেলেও মাঝে মাঝে ভুলতে পারেন না। তখন একটু প্রলাপের মতো শোনালেও বলে ফেলেন বেক্সিমকো কেন পাবে বেক্সিমকো কেন পাবে। মুরগির টিকাতো এখন আর বলতে পারছেন না। কারণ তাদের বিপুল অপপ্রচারের মুরগির টিকা বেক্সিমকোই পরিবহন করে এনেছে আর তারা তা করোনা ঠেকাতে শরীরে ঢুকিয়েছেন, কী লজ্জা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :