রাশিদুল ইসলাম : [২] সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া সাংবিধানিক বলে বিচার শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সিনেট বলছে, প্রথমবার অভিশংসনের মুখোমুখি হলেও নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে অভিশংসন থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু দ্বিতীয়বার ট্রাম্পকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। সিএনএন
[৩] ট্রাম্পের পক্ষে বলা হয়েছিল তিনি হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার পর তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে গেছে সিনেটে এ নিয়ে ৫৬-৪৪ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়ায়। যতটা আশা করা হয়েছিল রিপাবলিকানদের ভোট ট্রাম্পের পক্ষে ততটা পড়েনি। তারমানে অভিশংসন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই চলবে।
[৪] ক্যাপিটল হিলে হামলায় উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হলেও তিনি এতে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। শাস্তি পেলে ট্রাম্প ভবিষ্যতে আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
[৫] ট্রাম্পকে দোষি সাব্যস্ত করতে হলে সিনেটের ১০০ আসনের দুই-তৃতীয়াংশের ভোট প্রয়োজন। অভিশংসন প্রক্রিয়ায় মঙ্গলবার একটি ভিডিওতে ট্রাম্পের ৬ জানুয়ারির বক্তৃতা এবং তার সমর্থকদের তাণ্ডবের দৃশ্য দেখানো হয়। ম্যারিল্যান্ড থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি জ্যামি রাসকিন বলেন, এটা অভিশংসনযোগ্য অপরাধ না হলে আর কিছুই তা হতে পারে না।
[৬] ট্রাম্পের আইনজীবীরা যুক্তি দেখান, সাবেক একজন প্রেসিডেন্টকে বিচারের মুখোমুখি করাটা অসাংবিধানিক। তারা ডেমোক্রেটদের উদ্যোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেন।
[৭] ট্রাম্পের আইনজীবী ডেভিড শোয়েন আদালতে বলেন, অভিশংসন আদালতে ট্রাম্পের সাজা হলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে। ট্রাম্প এখন আর ক্ষমতায় নেই। সংবিধান অনুযায়ী এ আদালত চলতে পারে না। এই আদালত ট্রাম্পকে দন্ড দেয়ার এখতিয়ার রাখে না।