আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] মার্চ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকা সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সফরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে তাজা হওয়ার আশা করছেন কূটনীতিকরা। এমন সময়ে এই সফর, যখন দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুব বেশি ভালো নয়। ডয়েচে ভেলে
[৩] ২০২১ এর শুরুতেই ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সিইও আদর পুনেওয়ালা জানিয়েছিলেন, ভারত সরকার কোনও দেশে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এতে বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। কারণ এই কোম্পানিটি থেকে ৩ কোটি ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি করেছিলো সরকার। একদিন পরই অবম্য পুনাওয়ালা বলেন, এই ধরনের কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু সমাধান হলেও এই ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
[৪] এর আগে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে শীতলতা দেখা দিয়েছিলো। এ কারণে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।
[৫] দুই দেশের সম্পর্কে একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে পানি। ভারত বাংলাদেশের আত্রাই নদীতে বাঁধ দেওয়ার বিরোধীতা করে, ফেনি নদীর পানি দাবি করে, কিন্তু ৫০টির বেশি আন্তর্জাতিক নদীতে নিজেরাই বাঁধ দিয়ে রেখেছে। কয়েক দশক ধরেও দুই দেশ তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে চুক্তি করতে পারেনি।
[৬] বাংলাদেশে চীনের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে। ভারত এটিকে ভালোভাবে নেয় না। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করে, দুর্দিনে ভারতকে পাশে না পাওয়াতেই আসলে এমনটা হচ্ছে। ভারত শুধু প্রভাব বাড়াতে চায়, সহায়তা করতে আগ্রহী নয়।
[৭] এমন পরিস্থিতিতে মোদীর সফর হতে পারে সহজ সমাধান। করোনাকালে এটি হবে বাংলাদেশে কোনও বিদেশি নেতার প্রথম সফর। এসময় মোদীরও এটি প্রথম বিদেশ সফর।
আপনার মতামত লিখুন :